
হঠাৎ করেই সংস্কারের পক্ষে বিএনপি!!
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ করেই যেন লাগছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। ডক্টর ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি বিভিন্ন দাবী দাওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলো। সংক্ষিপ্ত সময়ের ভিতরে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার সরকারকে আল্টিমেটাম পর্যন্ত দিয়েছে। ডক্টর ইউনুস সংস্কারের জন্য যে সময় চেয়েছিলেন সেই সময় পর্যন্ত তাদেরকে দিতে নারাজ ছিলো বিএনপি। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে চাইলেও বাধার সৃষ্টি করে এই দলটি! রাষ্ট্রের সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু আইনের সংস্কার করতে চাইলেও সেখানে বাধা সৃষ্টি করে এই দলটি। দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ক্ষমতায় গেলে সংস্কার পরিবর্তন করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাছাড়া সারাদেশব্যাপী দলীয় নেতাকর্মীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড তো রয়েছেই। দলটি এহেন কর্মকান্ডে প্রতিনিয়তই জনসমর্থন হ্রাস পাচ্ছিল।দলের ত্যাগী অধিকাংশ নেতাকর্মীরাই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। হাই কমান্ডের নেতারা ভুগছিলেন ইমেজ সংকটে। এমতাবস্থায় তাদের দলের অনেক নেতাকর্মীরাই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে। অনেকেই দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতে শুরু করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেকবারই তার দলের নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক করেছেন।অবশেষে মনে হচ্ছে বিতর্কিত নেতাকর্মীদের হুশ ফিরতে শুরু করেছে। তারই প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি বিএনপি’র মহাসচিব এর আজকের বিবৃতিতে। আমরা দলটির এই পরিবর্তনকে সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণার্থে কাজ করে যাক। তাহলেই জুলাই বিপ্লবের আত্মত্যাগ কারীদের অসমাপ্ত কার্যসম্পন্ন হবে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে নব্য কোনো স্বৈরাচারের জন্ম হবে না। দেশের সকল রাজনৈতিক দলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের উর্ধ্বে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হোক। জয় হোক মুক্তিকামী জনতার। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দীর্ঘজীবী হোক।
লেখকঃ পল্লী চিকিৎসক ও তরুণ রাজনীতিবিদ।