মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের বারবার অস্বীকৃতি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে আসা সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জবাবে এই হামলা।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিলের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে 'বিশ্বাসঘাতকতার' অভিযোগ এনে হামাস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, ইসরায়েল গাজায় বন্দি অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের একটি অজানা ভাগ্যের দিকে ঠেলে দিলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেই গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফক্স নিউজের হ্যানিটি’ শোতে এ কথা জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র। খবর রয়টার্সের।
খবরে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, হামলার আগে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছে ইসরায়েল।
যুদ্ধ চলার পর গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইতিমধ্যেই যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর করার জন্য আলোচনা চলমান রয়েছে। এর মধ্যেই এমন ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, যা সুস্পষ্ট যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে হামাস।
সংগঠনটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করেছে ইসরায়েল। এছাড়া হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতি থেকে বুঝা যায় যে, ইসরায়েলের হামলার পেছনে ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন- হামাস, হুথি, ইরান; এরা কেবল ইসরায়েলকে নয় যুক্তরাষ্ট্রকেও টেরোরাইজ করতে চায়। তাদের সকলকে এর মূল্য দিতে হবে। সবাইকে ভেঙে দেওয়া হবে। এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে গাজায় আটক সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। নইলে তাদের ভেঙে দেওয়া হবে।