বোরহানউদ্দিনে জমি-জমা নিয়ে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার-২
রিয়াজ ফরাজি
ভোলার বোরহানউদ্দিনে জমি-জমা কে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে মমিন নামে এক বাক-প্রতিবন্ধিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জখমের পর গুরুতর আহত হলে মো. মমিনকে স্হানীয়রা দ্রুত চিকিৎসার জন্য বোরহানউদ্দিন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে এলাকায় উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরী হলে পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।
গতকাল (শনিবার ৮ মার্চ ২০২৫) আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের জবো সর্দার বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন টবগী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের তর্জুন আলীর ছেলে জাফর ও তার স্ত্রী সুমা বেগম। পরে খোকনের মা’ বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করে। সেই মামলা তাদের দুইজনকে ভোলা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় কয়েকটি সুত্র জানা যায়- মহিউদ্দিন ও জাফরের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে, গতকাল স্হানীয় শালিসগন দুপক্ষের কাগজপত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে বসে। একপর্যায়ে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জাফর উত্তেজিত হয়ে খোকনের দিকে গেলে, খোকনও উত্তেজিত হয়, এরইমধ্যে জাফরের স্ত্রী সুমা বেগম খোকনকে কোপ দিলে খোকনের ডান হাতে লাগে,পরে জাফর তার স্ত্রী’র হাত থেকে দা নিয়ে খোকনের মাথায় উদ্দেশ্য করে কোপ দিলে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে ওই কোপ খোকনের পিঠে লাগে এবং গুরুতর জখম হয়, খোকন বাক প্রতিবন্ধী,কথা বলতে পারেনা।
তারা আরো বলেন- জাফরের স্ত্রী সুমা বেগম এর আগেও কয়েক বার খোকনকে মারধর করেন,কেউ ডাক দিতে আসলেও তাদের ওপর তেজে উঠেন, সে কাউকে মান্য করতেননা। তার চলা ফেরা উগ্র এবং কাউকে তোয়াক্কা করতেন না। বাড়িতে সবাই জাফরের স্ত্রী সুমা বেগম এর কাছে জিম্মি। কিছু হলেই সে নিজেই গায়ের দিকে আসেন এই ভয়ে কেউ তার অনিয়ম খামখেয়ালীর প্রতিবাদ করতেননা।
ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বাক প্রতিবন্ধী মমিনের বোন জানান,জমি নিয়ে দীর্ঘদিন জামেলা চলছিল, তবে স্হানীয় শালিসি বসলে ওই জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জাফর ও তার স্ত্রী সুমা বেগম আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। আমি তাদের বিচার চাই, এর আগেও আমার বাবার হাত ভেঙে দেন। পরে স্হানীয়রা বসে শালিস মীমাংসা করে দেন। এই জাফরের পিছনে কারা শেল্টার দেন, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
বোরহানউদ্দিন থানার (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান জানান – কুপিয়ে জখমের ঘটনায় খোকনের মা বাদী হয়ে মামলা করেন। সেই মামলায় আসামীদের ভোলা কোর্টে প্রেরণ করা হয়।