‘তোর টিআই আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, আর তুই গাড়ি সরাইতে বলিস’- বলেই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেন এক ছাত্রদল নেতা।
শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় যশোর শহরের জেল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শাওন ইসলাম সবুজকে (২৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কে এম শরিফুল ইসলাম শহরের জেল রোডে ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে ডিউটি করছিলেন। সেখানে রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাওন ইসলাম। রাস্তায় যানজট তৈরি হলে তাকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম। এসময় শাওন তার সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। দুই জনের তর্কাতর্কির একপর্যায়ে শাওন ঘুষি মেরে ট্রাফিক সদস্য শরিফুলের নাক ফাটিয়ে দেন। এসময় পথচারীরা জড়ো হয় তাকে রক্ষা করে। খবর পেয়ে ট্রাফিক পুলিশ অফিস থেকে কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শাওনকে আটক করে এবং তাকে কোতয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাফুজুর রহমান বলেন, ‘সড়কের ওপর ছাত্রদল নেতা শাওন মোটরসাইকেল রেখে যানজট সৃষ্টি করছিলেন। সেখানে দায়িত্বরত কনস্টেবল শরিফুল তাকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন। তখন শাওন বলেন, চিনিস আমাকে, আমার মোটরসাইকেল ট্রাফিক সার্জেন্টও সরাতে পারে না। আর তুই! এ কথা বলেই তার নাকে ঘুষি মারেন শাওন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শরিফুলের নাক ফেটে রক্ত বের হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।’
গ্রেপ্তার শাওন ইসলাম যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার মো. শাহিনের ছেলে।