বরখাস্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বামীকে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দিয়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্ত্রীকে রোজ ভাঙ্গিয়ে ধর্ষণের তথ্যের প্রমান পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজ ট্রাইব্যুনালে ৩য় পিটিশন ছিল পুলিশের সাবেক এডিশনাল এসপি এবং র্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে মারাত্মক। তিনি অসংখ্য মানুষকে গুম ও নির্যাতন করার সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, অনেককে এই আলেপ উদ্দিন গুম করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল। তাদের নিষ্ঠুরতম পন্থায় নির্যাতন করেছিল। বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, চোখ বেঁধে রাখা, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে এই আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ হলো- এই আলেপ উদ্দিন একজন আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে (স্বামীকে হত্যার) রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এমন তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।
শুনানি শেষে তাজুল ইসলাম বলেন, ” ট্রাইব্যুনালে কার্যতালিকায় প্রথমে ছিল পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে। সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ২৩ জন আসামিকে হাজির করার আদেশ ছিল। সেই মামলায় ৮ জন গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের হাজির করা হয়েছিল ট্রাইব্যুনালে। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রার্থণা করা হয়। আদালত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। ৮ পুলিশ কর্মকর্তার তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন। আগামী ২৮ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। আলেপ উদ্দিন ও মহিউদ্দিন ফারুকীর মামলার তদন্ত ২৮ মে’র মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।”