সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে জামায়াত কর্মী ওয়ারেছ আলী (৫৫) হত্যার ১২ বছর পর মামলা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহম্মেদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সহ-সভাপতি রাসেদুল ইসলাম সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বিএসসি ও দলের নেতা জয়নাল আবেদীনসহ আওয়ামী লীগের ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে আরও ৩৫ থেকে ৩৬ জন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর এনায়েতপুর থানার একজন সক্রীয় কর্মী ওয়ারেছ আলী। তিনি ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ভোরে এনায়েতপুর হাটে কাপড় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ভ্যান গাড়িতে রওনা হন। এই হাটের মধ্যে কাপড় বেচাকেনা শেষ হলে হাফেজ আল-আমিনের সঙ্গে তার দেখা হয়। পরবর্তীতে তারা দুজন একত্রে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরই এক পর্যায়ে সকাল ১১ টার দিকে এনায়েতপুর থানার দক্ষিণ পাশের সোনালী ব্যাংকের সামনে পৌঁছালে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর দেশীয় ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ আলী মাটিতে নুয়ে পড়েন। পরে তার সঙ্গে থাকা কাপড় বিক্রির ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইন ফোন নিয়ে নেয় তারা। এরপর জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হাফেজ আল-আমিনকে কিল ঘুসি মেরে এনায়েতপুর থানার দিকে নিয়ে যায়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ওয়ারেছ আলীকে উদ্ধার করে খাজা ইউনুস আলী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ওয়ারেছ আলীর ছেলে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বাবাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল তারা। এই হত্যার পর আমাদেরকে তারা সতর্ক করে দেয়, এটা নিয়ে যেন কোন প্রকার মামলা করা না হয়। পরে আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শ অনুযায়ী এতোদিন মামলা করা হয়নি।