নরসিংদী ছাত্রলীগের একাধিক ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার(৩ ফেব্রুয়ারী) নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার আশ্রাবপুর গির্জাপাড়া গ্রামের আবদুল হাই এর ছেলে শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফাজায়েল ভূঁইয়া রয়েল (২৫), পলাশ উপজেলার ছোট তারগাও গ্রামের কাদির আকন্দের ছেলে জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক আকন্দ (২৮), একই উপজেলার সোকান্দরদি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), গড়পাড়া গ্রামের জামালের ছেলে পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান (২৫), কাজীরচর গ্রামের মৃত আখতারুজ্জামানের ছেলে পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. রাজু মিয়া (৩১),শিবপুর উপজেলার গির্জাপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফরহাদ আফ্রাদ (১৮), মনোহরদী পৌরসভার চন্দনবাড়ি গ্রামের রাজু মোল্লার ছেলে মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ মোল্লা (২৪), নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীর পাঁচদোনা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন মনির (২৮) ও পলাশ উপজেলার জয়নগর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম(২৬)।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা নরসিংদী মডেল থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ (সংশোধনী) মামলার আসামি। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের দুটি গাড়ি হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এসময় তাদের হেফাজত হতে “ভ্যাট বৃদ্ধি বন্ধ করো, ইউনূস তুই পদত্যাগ কর, ইউনুস তুই তওবা কর, জনগণের পায়ে ধর, যাতে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নেতাকর্মীদের ছবি সম্বলিত ব্যানার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড.মোহাম্মদ ইউনূস, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের ছবি সম্বলিত কাগজের মুখোশ পাওয়া যায়।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।