মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন দেওয়া এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার রাত ১২টার পর থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি।
সোমবার ঢাকার কমলাপুরে আন্দোলনকারী রানিং স্টাফদের সঙ্গে বৈঠক করেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তবে বৈঠকে কোনো সমাধান আসেনি।
বৈঠক থেকে বের হয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি মো. সাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, “আমরা বলেছি আজ রাত ১২টার আগে আমাদের হাতে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের কাগজপত্র দেবেন। আমাদের ভাতা আগে যেমন ছিল তেমন দিতে হবে। আমরা চার বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু তারা বারবার আমাদের কাছে সময় নিয়েছেন, যখন আমরা আলটিমেটাম দিই, শেষ সময়ে এসে তারা আমাদের সঙ্গে বসেন, কিন্তু কোনো দাবি পূরণ হয় না। এজন্য এবার আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি না।”
রেলওয়ের অপারেশন বিভাগ জানিয়েছে, সরাসরি ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকা শ্রমিকরা কাজ না করলে, ট্রেন চালানো অসম্ভব এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ট্রেনের যাত্রীদের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে ট্রেন বন্ধের কর্মসূচির বিষয়ে রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আলোচনা করার জন্য রানিং স্টাফদের ডেকেছিলেন তারা। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে। কারণ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাহিরে এ বিষয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের কিছু করার সুযোগ নেই।
তবে ট্রেন বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।