রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী একটি মিডটার্ম পরীক্ষা না দিয়েও পাস করেছেন। তাকে পাস করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তানজিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সদস্যসচিব ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হান্নান মিয়া এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ প্রামাণিক। তদন্ত কমিটিকে অবিলম্বে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে গণিত বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের ৫১০২ কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও পাসের ফলাফল আসে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় সমালোচনা।
ঐশীর সহপাঠীরা জানান, ওই কোর্সের পরীক্ষার দিন তাকে পরীক্ষা দিতে দেখিনি। তবে অন্য সময় বা অন্য কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছে কি না বলতে পারছি না।
অধ্যাপক ড. রুহুল আমীন বলেন, আমি পরীক্ষা জুলাই-আগস্টের আগেই নিয়েছি। মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের সকল বিষয় আগেই শেষ করে ফেলছি আমরা। তখন সে পরীক্ষা দিয়েছিল।
কিন্তু ওই ব্যাচের সিআরের দেওয়া পরীক্ষার নোটিশ থেকে জানা গেছে, গণিত বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের ৫১০২ কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২ ডিসেম্বর।
জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. রুহুল আমিনকে এ মাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তরের পরিচালক করা হয়। এছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান অনুষদের সমন্বয়ক করায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অনতিবিলম্ব এ শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশাসনিক দায়িত্বে বহাল রেখে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করায় এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাই ওই শিক্ষকের সকল প্রশাসনিক পদ থেকে অপসারণ দাবি করেন তারা।