নীলফামারীতে গত দু’দিন ধরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার সাথে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে পথ-ঘাট। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষজন। দুইদিন ধরে দেখা মিলছে না সুর্যের বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতি ৫কিমি,আদ্রতা ৪৮%।
সড়কে বাস ও দূরপাল্লার পরিবহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হওয়া মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে ভুগছেন অসহায় মানুষজন। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ নেই শীতবস্ত্রের। প্রয়োজনের বাইরে অর্থবিত্তরা ঘর থেকে বের না হলেও পেটের তাগিদে কাজে বের হতে দেখা গেছে ভ্যান চালক, নির্মান শ্রমিক,জেলে, দিন মজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের। গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
বুধবার রাতে চিলাহাটি রেলস্টেশনে বিজিবি নীলফামারী ব্যাটালিয়ন(৫৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা এএসসি শুয়ে থাকা ছিন্নমুল মানুষদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন। এছাড়া ৫৬ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ পঞ্চগড় সীমান্ত বিওপি ক্যাম্প এলাকার শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। তিনি জানান, মানবিক কর্মসুচির অংশ হিসেবে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা অব্যাহত থাকবে।