কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে ‘মালয়েশিয়া পাচারের’ সময় রোহিঙ্গাসহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় পাঁচজন দালালকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত দালালদের কাছ থেকে ৪টি রাইফেলের গুলি, ১টি রামদা ও ১টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালের অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
তিনি জানান, শনিবার গভীর রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ী সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ পথে মালয়েশিয়া পাচার করার উদ্দেশ্যে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে নারী-পুরুষ ও শিশুদের একটি গ্রুপ অস্থায়ী তাঁবুতে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, ২৯ ডিসেম্বর (রবিবার) ভোর রাতের দিকে পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযানে যায়। এরপর উক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচারে জড়িত অপরাধীদের জিম্মি দশায় আটক থাকা ৩৭ শিশুসহ ৬৬ জন মালয়েশিয়াগামী ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আটক দালালরা হলো— টেকনাফ পৌরসভার শিলবনিয়া পাড়ার আব্দু শুক্কুরের ছেলে মো. রাশেদ (২৫), বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার সুলতান আহাম্মদের ছেলে সালেহ আহাম্মদ (৩৫) ও তার ভাই নুরুল কবির (২৭), একই এলাকার রশিদ আহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলম (২৪) এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে কামরুল ইসলাম ওরফে মো. শিপন (৩২)।
উদ্ধারদের মধ্যে ৬১ জন রোহিঙ্গা এবং ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ৩৭ জন শিশু রয়েছে।