প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২৪, ২০২৫, ১১:৪১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৩, ২০২৪, ৫:৩৪ পি.এম
পাঠ্যপুস্তকে মাওলানা ভাসানীর জীবনী ও রাজনৈতিক ইতিহাস চাই
মো: আশিকুর রহমান

মো: আশিকুর রহমান, বিশেষ সংবাদদাতা।
বিশ্ব ইতিহাসের একজন অবিসংবাদিত মহা নায়ক,
উপমহাদেশের রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টাদের একজন ও পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্টাকালীন সভাপতি।
মাওলানা ভাসানী আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক প্রাথস্মরনীয় নাম।বিশ্ব ইতিহাসের একজন অবিসংবাদিত মহা নায়ক মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপমহাদেশের নিপীড়িত,নির্যাতিত মানুষের পক্ষে তিনি ছিলেন এক আপোষহীন নেতা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ বিভিন্ন আন্দোলনে মজলুম জনেতা ভাসানী ছিলেন এক আলোকবর্তিকা, যার হুংকারে কেপে উটতো অত্যাচারী ও স্বৈরাচারী শাসকদের মসনদ।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্টায় তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা।
মাওলানা ভাসানী এমন একজন নেতা ছিলেন যাকে নিয়ে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণা করা হয়।
অথচ, যে দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দ্রষ্টাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম একজন,তারই দেশে তার জীবনী,রাজনৈতিক ইতিহাস কোনো পাঠ্যপুস্তক বইয়ে ছাপা হয়নি।
এদেশের মানুষদের থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে মহান এই নেতার কৃতিত্ব।
স্বাধীনতার অন্যতম এই মহা নায়কের জীবনী, রাজনৈতিক ইতিহাস, এবং এই দেশের সঠিক ইতিহাস নতুন করে এই দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরা হোক।
নতুন জেনারেশনকে সঠিক সত্য ইতিহাস জানানো হোক, নতুবা একদিন এই জাতি জাতীয় নেতাদের নামটাও ভুলে যাবে।
আওয়ামী লীগ সরকার মাওলানা ভাসানীকে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিল। নতুন প্রজন্মকে তাঁর সম্পর্কে জানার সুযোগ দেয়নি। পাঠ্যবই থেকে তাঁর জীবনী তুলে নিয়ে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস থেকে এত দিন শিক্ষার্থীদের দূরে রাখা হয়েছে।
ভাসানী ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক জি এম শফিউর রহমান বলেন, আওয়ামী সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর কাউকে থাকতে দেয়নি। তারা মনে করে, বাংলাদেশে শেখ মুজিবই একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর ওপর আর কেউ নেই।
Copyright © 2025 দৈনিক সংবাদ ৭১. All rights reserved.