উলামায়ে কেরামই দেশের অতন্দ্র প্রহরী: লুটপাটের জন্য হাসিনার বিচার করতে হবে
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোণা জেলা শাখার উদ্যোগে ৮অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় কালেক্টরেট মাঠে শায়খুল হিন্দ কনফারেন্স ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিতহয়। সংগঠনের সভাপতি মুফতি তাহের কাসেমী ও সহসভাপতি মাও: ইউনুস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক । সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: রুহুল আমীন নগরী ও মাও: হানুর রশীদ ফারুকীর যৌথপরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাও:জুনায়েদ আলহাবীব। বিশেষ অতিথিরবক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব মাও:মুহাম্মাদুল্লাহ জামী, প্রচার সম্পাদক মাও: জয়নুল আবেদীন, শিক্ষাও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি জাবের কাসেমী, সহসাংগঠনিকসম্পাদক মুফতি আফজাল হোসাইন রাহমানী ।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থি’ত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফতমজলিস নেত্রকোণা জেলার সহসভাপতি হা: মাও: দিলোয়ার হোসাইন, সেক্রেটারী মাও:আসাদুর রহমান আকন্দ, নেত্রকোণা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও: আব্দুল বাতেন, প্রভাষক মাও:আব্দুল্লাহ, জেলা জমিয়তের সহভাপতি হা: আবুল কাশেম, আবুল বাশার ফরাজী,মাও: ইয়াসিন আহমদ,মুফতিআনিসুর রহমান, মুফতি মাজহারুল হক কাসেমী,মাও: মাহমুদুল হাসান,মাও: ফারুক আহমদ খান, মুফতি আনোয়ার হোসাইন,মাও: জহিরুল ইসলাম,মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, মুফতি নজরুল ইসলাম, মাও:আব্দুস সালাম, হাফেজ তোফাজ্জল হোসেন, মুফতি এনায়েতুল্লাহ খান,মাও: মাসুম আহমদ, মাও:সিরাজুল ইসলাম, এ কেএম জহিরুল হক, মাও:মুফাজ্জল হোসেন মাও:আতাউর রহমান প্রমুখ। শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন হা: ক্বারী মাসুম বিল্লাহ। দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন আব্দুর রকিব।
মাও:উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, দেশের জন্য জমিয়ত কর্মীদের সর্বো”চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমরা কোন বাতিল শক্তির সাথে আপোষ করবোনা। জনগণকে সাথে নিয়ে সকল ন্যায্য অধীকার আদায়ে সাংগঠনিকশক্তিকে বৃদ্ধি করতে হবে।
মাও: জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, উলামায়ে কেরামই দেশেরঅতন্দ্র প্রহরী। ১৯৪৭,৭১,২০২৪ সালের সকল আন্দোলন সংগামে উলামায়ে কেরামের অবদান রয়েছে। তিনি বলেন বিগত ১৫ বছর লুটপাটেরজন্য হাসিনার বিচারকরতে হবে।
সমাবেশ থেকে ১৩ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: রুহুল আমীন নগরী।
১৩ দফা নিম্মরুপ:
১। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেত্রকোণা জেলার যারা আহত হয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে বিশেষ সহয়তা প্রদান।
২। হেফাজতে ইসলামসহ বিরোধীদলের সকল নেতাকর্মীদের বিরোদ্ধের ফ্যাসিষ্ট আমলের সকল মিথ্যা মামলা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করা।
৩। নেত্রকোণার রাজুর বাজারে নির্মানাধীন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মহান দরবেশ “হযরত শাহসুলতান কমর উদ্দীন রুমী (র) এর নামে ’শাহ সুলতান বিশ্ববিদ্যালয়” নাম করণ করা।
৪। প্রাইমারী স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক হিসাবে দাওরায়ে হাদীস-নূরানী শিক্ষক নিয়োগদান।
৫। নেত্রকোণার বন্যা কবলিত এলাকাকে ‘দূর্গত এলাকা’ ঘোষণা করে ত্রান সহয়তা প্রদান ও ফসলী জমি তলিয়ে যাওয়া কৃষকদের ভর্তুকি প্রদান।
৬। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকল নাগরিকের ‘সামরিক প্রশিক্ষণ’ বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা করা।
৭। কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রিয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।
৮। নেত্রকোণা-সিলেট রেল যোগাযোগ স্থাপন করা।
৯। সকল নির্বাচনে সংরক্ষিত কোটা পদ্ধতি বাতিল করে নারী পুরুষের মধ্যকার বৈষম্যদূর করতে যে কোন পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার সুযোগ দানে উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
১০। প্রশাসনিক দপ্তর, অফিস-আদালতে কোন ব্যাক্তি বা জীব জন্তুর ছবি ঝুলানোর পরিবর্তে লাল সবুজের বৃত্তে বাংলাদেশের মানচিত্র প্রতিস্থাপন করার বিধান করা।
১১। সকল স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থীকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও দেশ প্রেমে উদ্ভোদ্ধ করতে কবি মুহিব খানের ‘ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি’ সংগিতটি পরিবেশনের ব্যবস্থা করা।
১২। মগড়া নদী পূণ:রুদ্ধার ও শহরের যানযট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৩। জমিয়ত নেতা হাফেজ আবুল কাশেমের উপর সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে ।