ফেলে আসা সোনালী দিনগুলো আজও খুব মনে পড়ছে
তানভীর আহমেদ
প্রত্যেকের জীবনের শৈশব ছিলো মধুর একটি সময়। শৈশব জীবনের দিনগুলি ছিলো সারাজীবন মনে রাখার মতো। আমার শৈশব যেনো আজও আমাকে ডাকে।
আজও যেনো বার বার ফিরে যেতে মন চায় ফেলে আসা সেই শৈশবের দিনগুলিতে। মনে পড়ে অবাধে ঘোরা ফেরা আর খেলে বেড়ানো সেই সব দিনগুলির কথা। দিনগুলি এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে আছে।
ছেলে বেলার সেই বন্ধুদের সাথে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি,বর্ষার দিনে বাবার সাথে পুকুরে মাছ ধরা,উঠানে বিদ্যুৎবিহীন জ্যোৎস্না রাতে হোগলা পাতার পাটিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে শুয়ে বাবার মুখে মুখে বিভিন্ন পড়াশুনা করা।গাছের উপর বসে খেলা করা,কলা গাছের ভেলা দিয়ে পুকুরে ভ্রমন করা,কয়েকজন মিলে আঁকা বাঁকা মেঠো পথ দিয়ে সপ্তাহে ২/৩ দিন বাজারে যাওয়া আজ সবই স্মৃতি।
স্কুল ছুটির দিনে আত্নীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া।একই বয়সের সবাইকে নিয়ে একত্রে বসে ভূতের গল্প করা। নানু বাড়িতে গিয়ে কাঁচা আম কামড়িয়ে খাওয়া কতইনা মজার ছিলো।
আধুনিক শহরের ইট পাথরের তৈরি বড় বড় অট্টালিকার কারণে মনটা যেনো হাঁপিয়ে উঠে বারেবারে।নিজেকে খুব একা এবং অসহায় লাগে।একটু সুযোগ পেলে হাজারো ব্যস্ততাকে পিছনে ফেলে মন চায় চলে যাই সেই গ্রামের বাড়িতে,আত্নীয়দের বাড়িতে আরো কত কি। তবে কোনো কিছুই যেনো এখন আর মনটাকে সান্ত্বনা দিতে পারেনা।
গ্রামের সেই সহজ সরল মানুষগুলো আজ নেই আগের মত।তারা এখন অন্যরকম হয়ে গেছে বিভিন্ন কারনে।আত্নীয়স্বজনের মধ্যেও নেই পূর্বের মত ভালোবাসা। ব্যস্ততা এবংজমিজমা বিরোধের কারনে(স্বার্থের)আজ তারা যেনো অনেক দূরের।গ্রামের বাড়ির সেই স্মৃতিমাখা গাছগুলো ও নেই আস্ত,মানুষ তাদের প্রয়োজনে কেটে ফেলছেন প্রতিনিয়ত।বাস্তবতায় হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে একটু সময় পেলেই অশান্ত মনকে শান্ত করতে ছুটে যাই প্রকৃতির কাছে।নদী – নালা,খাল-বিল, পশু-পাখির, সবুজ শ্যামল পরিবেশের মাঝেই জেনো আমার সুখ খুঁজে পাই।