
বাঁকা বাজার ও দরগাপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকা নিয়মিত প্লাবিত হচ্ছে হুমকির মুখে ব্যবসায়ীরা।
শাহীন রাজা
খুলনা পাইকগাছার বাঁকা বাজার ও সাতক্ষীরার জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়ক প্রতিদিন কপোতাক্ষ নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যেয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি উপজেলার বৃহত্তর বাণিজ্যিক মোকাম বাঁকা বাজার একই সাথে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
একদিকে যেমন পথচারীদের চরম অসুবিধা ভোগকরতে হচ্ছে অপর দিকে বাঁকা বাজার ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যে কোন সময়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজার তলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে।
ইতি মধ্যে নদীর পানি অতিমাত্রায় বৃদ্ধির ফলে বাজারের পশ্চিম দক্ষিণ পাশের অনেক দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। বাজারের মধ্যে দিয়ে মাছকাটা রোডের ইটের রাস্তা পর্যন্ত পানি পৌঁছে গেছে যদি উক্ত রাস্তা অতিক্রম করে তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে।
বেশ কয়েক বছর বাঁকা বাজারে পাশের নদী চর ভরাটের কারণে জোয়ার ভাটা সচল না থাকায় নদীটি মৃত অবস্থায় ছিল যারফলে এই এলাকার বিশেষ করে বাঁকা কাটিপাড়ায় এবং শ্রীকন্ঠপুর বৃষ্টি মৌসুমে আমন চাষ ও সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে আসছিল।
সম্প্রতি সরকারি উদ্যোগে আমাদি থেকে শালিখা পর্যন্ত নদী খননের কাজ শেষ হলেও ভোগান্তি শেষ হয়নি এ অঞ্চলের মানুষের । নদীর পার্শ্বএলাকাবাসীর ভোগান্তি ও ফসল বিনষ্ট মুক্ত করতে এলাকার ধান ও মৎস চাষের পাশাপাশি বৃষ্টি মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করতে সরকার নদী খনন কাজ শুরু করেন নদী খনন কাজ শেষ হলেও এখনো কিছু জায়গায় নদীর উপর পূর্বের ন্যায় রাস্তা বহাল রয়েছে।
বাঁকা বাজার ব্রিজ সংলগ্ন বাসস্টান্ড ও সাতক্ষীরা জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ একমাত্র রাস্তা থাকায় যে রাস্তাটি উক্ত নদীর উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে এবং জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য পূর্বের একটি ব্রিজ হওয়ার কথা রয়েছে তবে রাস্তা কেটে দুই পাশে নদী একত্রিত হওয়ার কথা থাকলেও যাতায়াতের সুবিধার্থে এখানে নদী খনন কাজ করা হয়নি।
অতিমাত্রায় বৃষ্টির ফলে এই এলাকার নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টির পানির ঢলের কারনে নদীতে জোয়ারের চাপ বাড়ছে যারফলে দরগাপুর বাসস্ট্যান্ড ও বাঁকা বাজারসহ আশপাশের এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে চরম ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে এলাকাবাসী। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজের কাজ শুরু করে নদী অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।