
খুলনায় কলেজ অধ্যক্ষ নিয়োগে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ৪ বছরেও নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি
তারিকুল ইসলাম আলভি
খুলনার সিটি গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ নাদিরা পারভীনের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে চার বছর আগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও, এ বিষয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠতার কারণে তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। বিশেষ করে কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সংশ্লিষ্টতা এবং নাদিরা পারভীনের ভাই মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর হোসেনের প্রভাবশালী ভূমিকা তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী, কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াও কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। তবে নাদিরা পারভীন মাত্র ৭ বছরের প্রভাষক হিসেবে কর্মকাল শেষে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান, যা বিধি পরিপন্থী। তাছাড়া, প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য যেখানে দ্বিতীয় শ্রেণির অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক, সেখানে নাদিরা পারভীনের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে দেখা গেছে, তিনি এইচএসসি এবং স্নাতকে তৃতীয় বিভাগ পেয়েছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। পরে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এই অভিযোগটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয় এবং দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রফেসর শেখ হারুনর রশীদ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অধ্যক্ষ নাদিরা পারভীন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন যে, তিনি কোনো ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত নন।