যশোর সদরের ইছালী মডেল কলেজে বৈধ ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব আহম্মদ আলী কে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী মিলন ক্ষমতার অপব্যবহার করে যোগাদান করতে না দিলে তিনি যশোর সদর কোর্টে ২২৯/০৯ মামলা দায়ের করে। এই মামলায় আদালত অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না বলে আদেশ দেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে নিয়োগের কাগজ পত্র তৈরী করে আদালতে দাখিল করলে যশোর সদর কোর্ট ২৫/৪/১৯ তারিখের আদেশে নুরে আলম সিদ্দিকী মিলন এর নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে।
পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত কলেজের অবৈধভাবে নিয়োগ অধ্যক্ষের এমপিও ভুক্তি না করার আদেশ দেন। কিন্তু জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী মিলন এ আদেশ অমান্য করে মহাদুরনীতিবাজ মাউশি খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক হারুন অর রশিদ এর সাথে অবৈধভাবে লেনদেনের মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশও অমান্য করে তাকে এমপিও ভুক্তি করে। বৈধভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব আহম্মদ আলী হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করলে মহামান্য হাইকোর্ট ৩২১১/২০১৯ নং আদেশে অবৈধ অধ্যক্ষের ( নুরে আলম সিদ্দিকী মিলন) এমপিও ভুক্তি না করতে আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এম পি ও ভুক্তি না করতে ৯ জুলাই ২০২০ তারিখে আদেশ জারি করে । কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের কোন তোয়াক্কা না করে অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরে আলম সিদ্দিকী মিলন ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে এবং বাংলাদেশ আ”লীগের যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে নিজেকে এমপিও ভুক্তি করে।
এর পর শুরু হয় অত্যাচারের পালা। অবৈধ অধ্যক্ষ নুরে আলম সিদ্দিকী মিলন শিক্ষক – কর্মচারীদের নিকট থেকে ১,৩১,৮৪০০০/- ( এক কোটি একত্রিশ লক্ষ চুরাশি হাজার টাকা) জোর করে ক্ষমতার দাপটে নেয়। এছাড়াও কৃষি শাখা থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে শিক্ষক – কর্মচারীরা বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন দিলে তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আরো উল্টো দীর্ঘ্য দিন পলাতক থাকা অবৈধ অধ্যক্ষের ৫ দিনের ছুটি মন্জুর করে স্বাক্ষর করে সীলমোহর ছাড়াই কলেজে পাঠায়।
ছাত্র জনতা আন্দোলন ও এলাকাবাসী গত সপ্তাহে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয় এর নিকট জানালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে পরিদর্শন করে সকল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক সংবাদ ৭১ এর প্রতিবেদকে বলেন এই বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর / বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে অদৃশ্য কারণে বাংলাদেশ আ”লীগের যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী মিলন এর পক্ষে পরোক্ষভাবে অবস্থান নিচ্ছে বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
অবৈধ অধ্যক্ষের দ্রুত পদত্যাগের মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।