স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের চৌগাছায় ধরন্ত ড্রাগন গাছের সাথে শত্রæতা করেছে দৃর্বৃত্তরা। কৃষক মাহাবুর রহমান লিটনের দুই বিঘা জমির সমুদয় ড্রাগন গাছ রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হয়েছে। দায় দেনা হয়ে ড্রাগন চাষ করে যখন স্বপ্নে বিভোর ঠিক সেই সময়ে দুর্বৃত্তরা সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে পাতিবিলা মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের মৃত হায়দার আলী বিশ্বাসের ছেলে কৃষক মাহাবুর রহমান লিটন। কৃষি কাজ করেই তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। ২০২১ সালে ধার দেনা করে নিজ গ্রামের মাঠে ২ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করেন। বর্তমানে প্রতিটি গাছে ফুল ও ফলে ভরে উঠেছে। শনিবার রাতে কে বা কারা সমুদয় ড্রাগন গাছের গোড়া হতে কেটে দিয়েছে।
কৃষক মাহবুর রহমান লিটন বলেন, আমার কারও সাথে কোনই শত্রæতা নেই। তবে কেন দৃর্বৃত্তরা আমার এতো বড় ক্ষতি করলো। দুই বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করতে যেয়ে এ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার উপরে খরচ হয়েছে। এখন ফল উঠার সময়, ঠিক সেই মুহুর্তে জমির সমুদয় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ড্রাগন চাষ করতে যেয়ে দায় দেনা হয়েছি কি ভাবে এই দেনা শোধ করবো বুঝে আসছে না বলে তিনি ছোট্ট শিশুর মত কাঁদতে থকেন।
মাহাবুর রহমান লিটনের ছোট ভাই লিমন হোসেন বলেন, দুই বিঘা জমিতে ৪ হাজার ৬শ ড্রাগন গাছ ছিলো। সারা রাত ধরে তার এই গাছ কেটেছে। গাছের গোড়া হতে না কেটে উপরে দুই একটি ছাড়া কাটলে ক্ষতি হতো কম। কিন্তু যে ভাবে কেটেছে তাতে আর বাগান ধরে রাখা কোন ভাবেই সম্ভব না। কৃষি অফিস থেকে দুইজন ব্যক্তি এসে ক্ষেত দেখে গেছেন।
ড্রাগন বাগান কেটে সাবাড় করা হয়েছে এমন সংবাদে স্থানীয়রা সকল থেকেই ওই জমিতে ভিড় করতে থাকেন। সকলেই এই জঘন্য কাজ দেখে হতবাক সয়ে যান। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হুসাইন বলেন, অত্যান্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা, কেন ফসলের সাথে শত্রæতা আমার বুঝে আসে না। খবর পেয়ে আমি দুই উপ-সহকারী কর্মকর্তাকে ওই মাঠে যেতে বলেছি। তারা ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকের সাথে কথা বলেছেন। যতটুকু সম্ভব কৃষি অফিস হতে কৃষক মাহবুর রহমানকে সহায়তা প্রদান করা হবে।