বদির যত বদনাম!
সীমান্তের সম্রাট আটক
মোহাম্মদ ইউনুছ অভি
২০০৮ সালে কক্সবাজারের-৪ আসনে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন আব্দুর রহমান বদি। সেসময় শিক্ষক,সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের মারধর করে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর জড়িয়ে পরেন টেন্ডারবাজি, জমি দখল, চাঁদাবাজিতে। পরেবার ২০১৪ সালে দ্বিতীয় ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর থেকে চোরাচালান, ইয়াবার ব্যবসা, মানব পাচার, রোহিঙ্গা আশ্রয়-প্রশয়সহ জড়ান সব অপরাধে। এরপর ইয়াবাকাণ্ডে বদিকে নিয়ে বিতর্ক উঠলে পরের নির্বাচনে ওই আসনে তার স্ত্রী শাহীন আক্তারকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।
এমপি থাকা সময়ে দশ বছর নানাভাবে আলোচিত-সমালোচিত নাম আবদুর রহমান বদি। ভাই, স্ত্রী, মামা, ভাগিনাসহ স্বজনদের নিয়ে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগেই সর্বাধিক সমালোচিত তিনি। এমন কি অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় সাজাও কাটেন।
অভিযোগ আছে, টেকনাফের ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ করে বদির পরিবারই। বদির পরিবারের ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন এমপি বদির আপন ভাই মো. আবদুল শুক্কুর, মজিবুর রহমান ওরফে মুজিব কমিশনার, শফিকুল ইসলাম, সৎভাই আবদুল আমিন, ফয়সাল রহমান, ভাগিনা আবদুর রহমান দারোগার ছেলে নিপু, শাহেদ কামাল, এমপির মামা হায়দার আলী ও এমপির মামাতো ভাই কামরুল ইসলাম রাসেল। তারাই পুরো টেকনাফ স্থলবন্দর দখল করে রাজত্ব করেন। এ ছাড়া ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত গাড়ির তালিকায়ও রয়েছে বদি পরিবারের গাড়ির নাম।
এদিকে বদি আটকের খবরে টেকনাফের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। সন্ধ্যা থেকে অনেকে বদির আটকের খবর পুরো সীমান্তজুড়ে ছড়িয়ে পরলে, লোকজনের মাঝে আনন্দ দেখা যায়।
এ বিষয়ে টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বদি একজন ইয়াবা সম্রাট। তার কারনে পুরো দেশজুড়ে মাদক ছড়িয়ে পরে। বদি এবং তাঁর স্ত্রী এমপি থাকাকালীন প্রভাব কাটিয়ে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। বিশেষ করে মাদক চোরাচালান ও স্বর্ণ পাচারের জড়িত ছিল দীর্ঘ দিন ধরে। বদির এসব অবৈধ টাকায় দেশে-বিদশে বিপুল পরিমান সম্পদও গড়েছেন।