১৫ বছরের অপরাধীদের নিয়ে আমরা কাজ করব। হয়ত একটু সময় লাগবে। প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবকিছু স্থির হলে কাজ শুরু করব।
এনবিআরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর রোববার (১৮ই আগস্ট) দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আব্দুর রহমান খান। তার আগে সকালে তিনি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ পাচার নিয়ে বিএফআইইউ কাজ করছে, এনবিআরের সিআইসিও কাজ করবে। যখনই কোনো ইঙ্গিত পাব, তা অনুসন্ধান করা হবে।
সাংবাদিকদেরও তিনি এসব বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে অনুরোধ করেন এবং মতিউরের (ছাগলকাণ্ডে আলোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান) মতো দুর্নীতিবাজ যেন তৈরি না হয়, সেজন্য এনবিআর কর্মকর্তাদের দুর্নীতি শক্ত হাতে দমনের হুঁশিয়ারিও দেন।
এনবিআর ‘দুর্নীতির কারখানা’ এবং এখানে ‘মতিউর তৈরি হয়’– এক সাংবাদিকের এমন মন্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, তাদের (কর্মকর্তাদের) মেসেজ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের পরিবর্তন করতে না পারলে বের করে দেওয়া হবে। বড় ছোট না, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্বৃত্ত যেন তৈরি না হয় সেটা দেখা হবে।
ক্ষমতার পালাবদলের পর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে ফের প্রশ্ন আসছে। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আব্দুর রহমান খান বলেন, কালো টাকার বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টার সাথে আলাপ করব। তবে এনবিআর চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এগুলা অগ্রহণযোগ্য। এর ফলে সৎ করদাতা নিরুৎসাহিত হন।