আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এম পক্স ভাইরাস ভয়ংকর ভাবে ছড়িয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা জারি করেছে। গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এ জরুরি অবস্থা জারি করেন। সংস্থাটির মহাসচিব জানান, এম পক্স ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর হার উচ্চপর্যায়ে রয়েছে যে কারণে গবেষকরা গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেজন্য আমরা গত দু’বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো আবারো জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা সতর্কতা জারি করলাম।
এদিকে জানা যায়, এম পক্স ভাইরাস প্রথমে শরীরের চামড়ায় দেখা যায় ক্ষত। এরপর বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। তাছাড়া,
এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে প্রায়শই একটি ফুসকুড়ি হয় যা হাত, পা, বুক, মুখ বা মুখের কাছে বা যৌনাঙ্গের অঞ্চলের কাছাকাছি থাকতে পারে। ফুসকুড়ি অবশেষে নিরাময়ের আগে পুস্টুলস অথবা পুঁজে ভরা বড় সাদা বা হলুদ পিম্পল এবং স্ক্যাব গঠন করে। এছাড়াও হতে পারে জ্বর, মাথাব্যথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করার সাথে সাথে লিম্ফ নোডগুলিও ফুলে উঠতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, একটি সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার সময় থেকে ফুসকুড়ি পুরোপুরি নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত এবং ত্বকের একটি নতুন স্তর তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এটি অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে।
ইউএনবির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডব্লিউএইচওর তথ্যানুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের মোট সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে, ১৪ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগে এখন পর্যন্ত ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।