বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী কারাগারে বন্দি থাকলেও তার মানবিক কাজ থেমে থাকেনি। তিনি কারাগারে থেকেই বহু অসহায় মানুষকে তার আর্থিক ও আইনি সহায়তায় জামিনে মুক্ত করেছেন। বিশেষ করে সীতাকুণ্ড এলাকার কোনো মানুষ কারাগারে বন্দি হলে দলমত নির্বিশেষে তার কাছে পৌঁছতে পারলেই তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সর্বশেষ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর আসলাম চৌধুরীর সহযোগিতায় কারাগারে হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। সারাদেশে যখন সহিংসতা শুরু হয়, কারাগারে হামলা হচ্ছিল, তখন কারা কর্তৃপক্ষ আসলাম চৌধুরীর সহযোগিতা চান। তখন তার সহযোগিতায় উত্তেজিত জনতা কারাগারে আর হামলা চালাতে পারেনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী আট বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দি। তার বিরুদ্ধে ৭৬টি নাশকতা, বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা, দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ ও চেকের মামলা রয়েছে। তিনি ৭৬টি মামলায়ই জামিন পেয়েছেন। তবে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন চেম্বার জজ স্থগিত করার কারণে মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। ২১ আগস্ট সেই স্থগিতাদেশের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আসলাম চৌধুরীর আইনজীবী নাছিমা আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে আসলাম চৌধুরীর জামিনে মুক্তি পাওয়ার জন্য কাজ করছি। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। তিনি একটি মামলা ছাড়া বাকি সব মামলায় জামিনে রয়েছেন।’
কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, ‘আসলাম চৌধুরী কারাবন্দি থাকায় শেখ হাসিনার পতনের পর কারাগারে হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। তার কাছে আমরা (কারা কর্তৃপক্ষ) সহযোগিতা চাইলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। অনেককে কারাগারে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন। তার সহযোগিতা না পেলে ৫ আগস্ট বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হতে আমাদের।’