নাটোরের গুরুদাসপুরে পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মোল্লার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
রোববার (১১আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুরুদাসপুর পৌরসদরের চাঁচকৈড় রসুন হাটায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার এরশাদ আলম।
সেনাবাহিনীর গুরুদাসপুর ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. এরশাদ আলম কালবেলাকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতার ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ আলমারি থেকে ১টি রামদা, ১টি চাকু, ১টি হাতুড়ি ও গোপন ঘর থেকে ৩টি হাসুয়া ও ২টি লোহার রড পাওয়া যায়। পরে সেগুলো জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকারসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, দলীয় প্রভাবে প্রায় ১৫ বছর ধরে নন্দকুঁজা নদীর জায়গা দখল করে সেখানে রসুনের আড়ত নির্মাণ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মোল্লা। ওই আড়তেই রেখেছিলেন দেশীয় সব অস্ত্র। সেখানে প্রায়ই বিভিন্নজনকে নির্যাতন করে অর্থ আদায় করা হতো। এসব অস্ত্র দিয়ে রাজনৈতিক সহিংসতা করার পরিকল্পনা ছিল ওই নেতার।
অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম মোল্লা কালবেলাকে বলেন, ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি তার ছিল। সরকার পতনে সেটি দখল করে নেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বিএনপির লোকজন অস্ত্র রেখে তাকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসাতে চাচ্ছেন।
গুরুদাসপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতার ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। তবে ওই নেতাকে পাওয়া না গেলেও সেখান থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।