1. dailysonbad@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. newsroom@dailysongbad71.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৭ অপরাহ্ন

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সুযোগ সুবিধা

বিশেষ সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪
  • ১০৬ বার দেখা হয়েছে

শেখ হাসিনার সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে তিন সদস্যের অনুপস্থিতিতে ড. ইউনূস ও অন্য ১৩ সদস্য শপথ গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার (৯ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের দপ্তর বণ্টন করেছেন।

উদ্ভূত নতুন পরিস্থিতিতে কৌতূহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টারা দায়িত্ব পালনকালে কী কী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। কারণ, ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যমান সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের বেতন ও সুযোগ সুবিধার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলা নেই।

তবে, বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সমান পদমর্যাদাসম্পন্ন হবেন প্রধান উপদেষ্টা। একইভাবে মন্ত্রীর সমান মর্যাদার বলে গণ্য হবেন উপদেষ্টারা। সেই হিসাব অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর সব সুযোগ-সুবিধাই ভোগ করবেন প্রধান উপদেষ্টা এবং মন্ত্রীদের সব সুবিধা ভোগ করবেন উপদেষ্টারা। পরবর্তীতে দায়িত্বপালন শেষ করে তারা যখন সরকার ছাড়বেন, তখন তারা সবাই সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্ব ছাড়ার পরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই বছর আবাসিক সুবিধা ভোগ করবেন।

দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স (রেমুনারেশেন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেতন মাসে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া তিনি মাসিক বাড়ি ভাড়া পান ১ লাখ টাকা, দৈনিক ভাতা পান ৩ হাজার টাকা। একই সুবিধা ভোগ করবেন বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাও।

প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন ছাড়াও, যাতায়াত খরচ, বাড়িভাড়া, ডেইলি অ্যালাউন্স, ইনস্যুরেন্স সুবিধা, কূটনৈতিক পাসপোর্ট, নিজ দপ্তর এবং অন্য টেলিফোন ব্যয়, চিকিৎসা সেবাসহ আরও অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন সরকারপ্রধান; যার পুরো ব্যয়ভারই রাষ্ট্রের। নতুন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জন্যও এসব খরচ পুরোটাই বহন করা হবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরা সাধারণত নির্বাচিত হওয়ার পর একটা সরকারি বাসভবন পান। এর সাজানো থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। কেউ চাইলে নিজের বাড়িতে অথবা অন্য কোথাও বাড়িভাড়া নিয়েও থাকতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সেই বাড়িও সরকারি টাকায় অত্যাধুনিক বিলাসবহুল করে সাজিয়ে দেওয়া হবে। বাড়িভাড়া হিসেবে প্রতিমাসে ১ লাখ টাকা পান প্রধানমন্ত্রী। তার বাড়ির নিরাপত্তায় থাকেন স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা। বর্তমান উপদেষ্টাও একই সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছে বঙ্গভবন সূত্র।

প্রধানমন্ত্রীর মতো প্রধান উপদেষ্টাকেও বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন, পানির বিল যত খরচই হোক না কেন, সবকিছুই দেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। দেশ এবং দেশের বাইরে যাতায়াত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর যে টাকা খরচ হয়, তাও সম্পূর্ণ বহন করে রাষ্ট্র। দেশের মধ্যে ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে, তার জন্য বরাদ্দ থাকে বিলাসবহুল রেলওয়ে সেলুন কোচ। পরিবারের কোনও সদস্য থাকলে, তারাও ফ্রিতে যাতায়াত করতে পারেন রেলে। এছাড়াও বিমানে ভ্রমণে যে খরচ হয়, তাও বহন করে রাষ্ট্র। আকাশপথে ভ্রমণের সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে, বাৎসরিক ২৫ লাখ টাকার ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ পান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও প্রতিদিন তিন হাজার টাকা পান তিনি। প্রধান উপদেষ্টাও একই সুবিধা ভোগ করবেন।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© 2024, All rights reserved. এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট
error: এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।