পালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা
উত্তরবঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষুদ্ধ জনতা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বাড়িতে হামলা করায় অনেকেই ভয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। রাজশাহী, নাটোর, লালমনিরহাট, নিলফামরিতে কয়েকটি জায়গায় আওয়ামী লীগ সমর্থক ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদস্যদের স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর আর তাদের প্রকাশ্যে দেয়া যায়নি।
ঢাকা থেকে আমাদের বিশেষ সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের দমন নিপীড়নের কারণে জনসাধারণ এমনিতেই তাদের উপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন। কিন্তু হামলা, মামলার ভয়ে এতদিন চুপ করে ছিলেন। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে ঢাকা শহরে আওয়ামী লীগের নেতারা হামলার শিকার হতে শুরু করেন। রাজধানীর কয়েক জায়গায় আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের বাড়ীতে হামলা করা হয়েছে।
বিশেষ করে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের উপর উত্তরায় বিক্ষোভ চলাকালে হামলা করা হয়। বিক্ষুদ্ধ জনতা তার গাড়ী বহরে
ভাঙচুর চালায়। ওই সময় জাহাঙ্গীরের গানম্যান ও পিএস ঘটনাস্থলেই হামলায় নিহত হন। এছাড়া পুরনো ঢাকায় হাজী সেলিমের বাড়ীতে হামলা করা হয়। জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও বাহাউদ্দিন নাসিমের বাড়ীতেও হামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
আমাদের সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, এসব সংবাদ দেশে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের উপর হামলা বাড়তে থাকে। রংপুর এলাকায় হামলা বেশি হয়েছে। রংপুরে বিক্ষোভ চলাকাল বক্তা আদনান ত্বহাকে পুলিশ আটক জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আদনান ত্বহা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। পরে উত্তেজিত জনতা থানায় হামলা করে।
উত্তরবঙ্গ থেকে আমাদের সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, সার্বিক পরিস্থিতির কারণে আওয়ামী লীগের নেতারা আপাতত গা ঢাকা দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সীমান্তবর্তী জেলার অনেকেই ভারতে চলে গেছেন বলেও জানা গেছে।