শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরের দিন মঙ্গলবার রাতে হামলায় বিএনপির নেতা রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। উপজেলা স্বরুপদাহ ইউনিয়নের টেংগুরপুর গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আহত নেতা বর্তমানে চৌগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর মঙ্গলবার বিকেল থেকে এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি যাতে শান্ত থাকে সে লক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বদা কাজ শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় স্বরুপদাহ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জুলফিক্কার আলী ভুট্টো রাত ৯ টার দিকে গ্রামের কারিগরপাড়া মহল্লা মোড়ে দোকানে বসে সকলকে শান্ত থাকার কথা বলতে থাকেন। এসময় আকস্মিক ভাবে সেখানে গাছি দা, রামদা, চাপট নিয়ে বহুল আলোচিত একই গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে হারুন অর রশিদ মাষ্টার, মামুনুর রহমান লিপু, শরিফ, মেহেদী, শরিফুল ড্রাইভার, শফি উদ্দিন, সবুজ হোসেনসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী হাজির হয়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বিএনপি নেতা ভুট্টোর মাথায় কোপ দেয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার মাথায় অন্তত ৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
চৌগাছা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ লুৎফুন্নাহার লাকি বলেন, মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতটি বেশ গভীরে গেছে। যশোর থেকে সিটি স্ক্যাান করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত।
আহতের ছোট ভাই হাসান জামান বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের ১৭ বছরের শাসনামলে হামলায় অংশ নেয়া সন্ত্রাসীসহ অনেকেই এলাকাকে জিম্মি করে রেখেছে। মানুষের ভিতরে জমে থাকা ক্ষোভে অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ্য হতে পারে মর্মে বড় ভাই শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই এলাকার প্রতিটি জায়গায় গেছেন এবং নেতাকর্মীদের শান্ত থাকায় আহবান জানান। সন্ত্রাসীদের ধারনা ভাইকে জখম করলে সকলে ভয় পেয়ে যাবে এবং তারা পূর্বের মতই এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অব্যহত রাখতে পারবে। হামলার পর হতে সকল সন্ত্রাসী এলাকাছাড়া বলে খবর পাওয়া গেছে।