বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন যশোরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সাধারণ জনতা ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে যশোর শহরতলী চাচড়াঁ চেকপোস্ট মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের মুজিব সড়ক হয়ে মনিহার মোড়ের এক প্রান্তে অবস্থান নেন তারা।
অন্যদিকে, বেলা ১১টার দিকে যশোর শহরের দড়াটানা মোড়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১টার দিকে আইনজীবীদের একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে জজকোর্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এদিকে, মনিহার মোড়ের অপরপ্রান্তে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের লাঠিসোঁটা হাতে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এর আগে মনিহার মোড় সংলগ্ন শহরের আরএন রোডে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশের সঙ্গে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে আরএন রোডের দুই দোকান কর্মচারী আহত হন।
আহতরা হলেন, রিপন অটোর দুই কর্মচারী রিংকু হোসেন (২২) ও আবির হোসেন (২০)। এর মধ্যে রিংকুর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আহত আবির হোসেন বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে আরএন রোডে প্রবেশ করলে আমরা দোকানের সাটার টেনে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কিছু দুর্বৃত্ত ইটপাটকেল ছোড়ে। কয়েকটি ইটের অংশ আমার আর রিংকুর মাথায় লাগে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিব মো. আল হাসান জানান, আহত দুই জনের মধ্যে রিংকুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আবিরের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এমন ঘটনা এখনো শুনিনি, তবে খোঁজ নিচ্ছি।
পুলিশের অবস্থানের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কোনো মিছিলে বাঁধা দেইনি। ওরাও আমাদের সাথে কোনো ঝামেলা করেনি।