চৌগাছা উপজেলা সদরসহ বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা গত দু দিনে অনেকটাই বিদ্যুতহীন অবস্থায় দিন এবং রাত পার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন অজুহাতে ঘন্টার পর ঘন্টা চলে লোডসেডিং ফলে নানা সমস্যায় পড়েন ভুক্তভোগী এলাকাবাসি।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টির মধ্যেই পৌরসদর সহ উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় হঠাৎ চলে যায় বিদ্যুত। ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে মধ্যরাতে গ্রাহকরা পান কাংখিত বিদ্যুত। অনুরুপ ভাবে শুক্রবার আসরের পর পরই উপজেলা সদরে চলে যায় বিদ্যুত। রাত সাড়ে ১১ টায় বিদ্যুত এলেও উপজেলা পাড়া ও থানাপাড়া এলাকাতে রাত ১ টার দিকে পুনরায় বিদ্যুত চলে যায়। পরের দিন বেলা সাড়ে ১১ টায় এ এলাকার মানুষ বিদ্যুতের দেখা পাই। শুধুমাত্র বৃষ্টিতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুত না থাকার কারন নিয়ে গ্রাহক মনে নানা প্রশ্নের জন্য দিয়েছে। অনেকে বলেন, বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ এক মাস বিল বাকি থাকলেই লাইন কেটে দিচ্ছে, কাটা লাইন পুনরায় সংযোগে নিচ্ছেন প্রায় হাজার টাকা, আর ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুত বন্ধ থাকলেও বিল আসছে অনেক বেশি। মাসে অন্তত দুই বার লাইন মেরামতের নামে সারা দিন থাকে না বিদ্যুত, তাহলে সামান্য বৃষ্টি বা ঝড়ে কেন গ্রাহকরা বিদ্যুতহীন থাকবে ? সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের কারনে চৌগাছাবাসি পল্লী বিদ্যুতের কাংখিত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে চৌগাছা পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী বালি আবুল কালাম বলেন, গত দুই দিনে বিদ্যুত বিভ্রাট ছিল অনাকাংখিত। প্রথম দিনে ছুটিপুর সড়কে তারের উপর গাছ পড়ে তার ছিড়ে যায়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মেরামতে বেশ সময় লাগে। শুক্রবার যশোর হেড অফিসে দেখা দেয় সমস্যা। বৃষ্টির কারনে এই সমস্যা গুলো হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন এই বিদ্যুত বিভ্রাট সকল গ্রাহক স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।