আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে যাতে কারাগারে যেতে না হয় সে বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড় নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে এমন তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ডে অনেক দল গেছে, নকশালসহ অনেক দলের কী হয়েছে, সেটার ইতিহাস আপনারা জানেন। তবে সেটাকে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি সরকারের আছে।’
মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও প্রসিকিউশন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই যারা সহিংসতার সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাদেরকে জামিন দেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যারা অপরাধ করেছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। তাছাড়া, এ আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরসহ তার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
তিনি আরো বলেন, এ দল বা সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পর এর সদস্যরা আর এ নামে রাজনীতি করতে পারবেন না।
জামায়াতের সম্পদের কি হবে? এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সেগুলোর ব্যবস্থা হবে। ’দল হিসাবে নিষিদ্ধের পর এর সদস্যদের কী হবে– এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘এ দলের আন্ডারে তারা রাজনীতি করতে পারবে না। কিন্তু এটা যদি আপনারা বলেন, গণহারে যারা জামায়াতে ইসলামীর নতুন কর্মী হয়েছেন, ১৯৭১ এর পরে যারা জন্ম নিয়েছেন, তাদের বিচার করা হবে-এরকম গণহারে বিচার করা হবে না। তবে তারা যদি বাংলাদেশের কোনো আইনে অপরাধ করে থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের বিচার হবে।’