বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচিকে ঘিরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, শিল্পী, চিকিৎসকরা। এতে আজ শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। মিলেছে গুলিবিদ্ধের খবরও। ফলে দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর সচিবালয়, আগারগাঁও, ডিপ্লোম্যাটিক জোন, শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর, কাকরাইল মোড়, নাইটিঙ্গেল মোড়, উত্তরা, মতিঝিল শাপলা চত্বর, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, মোহাম্মদপুর-বসিলা এলাকায় টহল জোরদার করেছে বিজিবি। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সতর্ক অবস্থায় মোতায়েন ও টহলে থাকবে বিজিবি।
এদিকে আজ রাজধানীর শহীদ মিনার থেকে দ্রোহযাত্রায় ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে চার দফা দাবি আদায়ে আগামী শনিবার পর্যন্ত সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। দাবি মানা না হলে ওইদিন বিকেলে গণমিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হবে।
‘নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি ও আস্তানা নিশ্চিহ্ন করতে হবে’‘নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি ও আস্তানা নিশ্চিহ্ন করতে হবে’
দাবিগুলো হলো, রবিবারের মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার হওয়াদের মুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু ও শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ।
এদিকে শুক্রবার হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। দুপুরে জুমার নামাজ শেষে হবিগঞ্জ শহরে টাউন হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া উত্তরায় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই জন গুলিবিদ্ধ ও অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।