কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে ব্যাংক বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল ইন্টারনেটও। এমন পরিস্থিতিতে দেশে প্রবাসী আয় আসা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তা নেমে এসেছে অর্ধেকে। এটা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। গত জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় পেয়েছিল দেশ। এক মাস না যেতে তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। জুলাইয়ে পাঁচদিন অর্থাৎ ১৯ থেকে ২৩ জুলাই ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রবাসী আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী জুলাই মাসে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসের প্রথম কার্যদিবসে আগের মাসের রেমিট্যান্সের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা প্রকাশ করেনি। বিকেলে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হকের কাছে রেমিট্যান্সের তথ্য জানতে চাইলে বলেন, এখনো প্রতিবেদন কমপ্লিট হয়নি। কাজ চলছে, কমপ্লিট হলে জানানো হবে। পরে বিকেল ৫টার দিকে প্রতিবেদন প্রকাশ না করে সংক্ষিপ্তভাবে শুধু জুলাই মাসে কত ডলার এসেছে তা হোয়াটসঅ্যাপে দেন।
মুখপাত্র জানান, জুলাই মাসে ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। আগের বছর জুলাই মাসে যা ছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।