চৌগাছার বহুল আলোচিত বল্লভপুর মৎস্য সমবায় সমিতির বর্তমান কমিটি নিয়ে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের মাঝে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে। তাদের দাবি একটি মহল সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে অর্থ বানিজ্য করে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের বাদ দিয়ে একটি নামমাত্র কমিটি করেছে। ওই কমিটিতে রাখা হয়নি সাবেক কমিটির অনেক সদস্যকে। এ নিয়ে মহামান্য আদালতে মামলাসহ উপজেলা সদরে সাবেক কমিটি নানা কর্মসূচি পালন করছেন। সম্প্রতি তারা উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে মানববন্ধন করে বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে প্রকৃত মৎস্যজীবিেিদর নিয়ে কমিটি করার দাবি করেন।
মানববন্ধনে বল্লভপুর বাওড় মৎস্য সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, সদস্য আসাদুল ইসলাম, সুকুমার বিশ্বাস, নিমাই চন্দ্র বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম, ছাবদার আলীসহ বাওড় সংশ্লিষ্ঠ এলাকার অন্তত দেড় শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেয়।
এ সময় তারা বলেন, ২০১১ সালে বল্লভপুর মৎস্য সমবয় সমিতি গঠন করা হয়। সমিতির গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করে একটি মহল নতুন কমিটি করেছে। সেই কমিটির সভাপতি হয়েছেন সরজিত কুমার। তিনি নতুন কমিটিতে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি করেছেন বলে অভিযোগ। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছেন বাওড়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা মৎস্যজীবিরা।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, সমিতির সাবেক সভাপতিসহ বাওড়ের সাথে সম্পৃক্তরা ৯০ কোটি টাকা লগ্নি করেন। ওই টাকা দিয়ে তারা বাওড়ে বাঁধ নির্মান ও পোনা মাছ ছাড়েন। কিন্তু কোন ভাবেই তারা বাওড়ে নামতে পারছেন না। আমরা মৎস্যজীবিরা আজ অর্ধহারে অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি। এসব বিষয় নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমবয় অফিসে দুটি আবেদন করেছি, তবে এখনও কাংখিত কোন ফল না পেয়ে আমরা হতাশ হয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় অফিসার অহিদুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বাওড়ের কমিটির বিষয়টি আমি জেনেছি, অবশ্যই সমিতির বৈধতা আছে কিনা তা নিবিড় পর্যবেক্ষন করছি। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে এখনও তদন্ত শেষ হয়নি।