।
নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হলো জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র শিবির। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাদের নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জামায়াত-শিবির এবং এর সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, সরকার ২০০৯-এর ধারা ১৮ (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠককে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠককে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিল।
গত সোমবার (২৯ জুলাই) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সভার সিদ্ধান্ত জানান।
পরে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি অত্যন্ত স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীও তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বুধবারের মধ্যে একটি ব্যবস্থা নেওয়ার। তিনি কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বসবেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো দলকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়, তখন সেটি নির্বাহী আদেশেই হয়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার করা এককথা, আর দল নিষিদ্ধ করা আরেক কথা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা কোটা আন্দোলন করেছিলেন, তারা কিন্তু বলেছেন, এই সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সরকারের কাছে তথ্য উপাত্ত আছে জামায়াত, বিএনপি, ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের যারা জঙ্গি, তারাই এটা করেছে। দলটিকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তা হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।