নাশকতা ও সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সিঙ্গাইর থানা পুলিশ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি জামায়াতের নাশকতা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে সিঙ্গাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন যুবঅধিকার পরিষদের কর্মী এবং হরিরামপুর ও ঘিওর উপজেলার ২জন বিএনপি কর্মী, বাকিরা সিঙ্গাইর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ভিপি নূর সমর্থিত মানিকগঞ্জ জেলা যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি সিঙ্গাইর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের (গোবিন্দল উত্তরপাড়ার হেলাল হাজির মহল্লার) নুরুল ইসলামের পূত্র মো. মোমেন। উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও জয়মন্টপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান মো. হাবিবুল আলম (৬৫), জয়মন্টপ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন (৫৮), ছাত্রদল কর্মী বায়রা ইউনিয়নের বাইমাইল মধ্যপাড়ার দেওয়ান আকাশ ওরফে রবিউল(১৯), বায়রা ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সানাইলের মোল্লা পাড়ার শাকিল হোসেন (২৫), ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগরের বাশার ওরফে বাদশা (৪৫), কহিনূর রহমান (৪৫), রুবেল খান (২৪) দক্ষিণ ধল্লার চুন্নু মিয়া (৫৫), বাস্তার আবদুল হালিম (৪০), হরিরামপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শোনপুর গ্রামের হাজ্বী মইজুদ্দিন পূত্র মাসুদ ওরফে গান মাসুদ (৫০) ও ঘিওর উপজেলার মৌহালী গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত আলিমুদ্দিন কাজীর পূত্র মোঃ আব্দুর রশিদ কাজী(৩২)।
তারা কোটা আন্দোলনে নাশকতায় জড়িত ও নাশকতার মামলায় তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাইর থানা পুলিশ।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, কোটা আন্দোলনের নামে যারা নাশকতায় করেছে, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ১২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে।