রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : হাবিবুল্লাহ মীর
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বন্ধুদের সাথে ট্রলারে পিকনিক করতে এসে পিকনিক ট্রলারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। যাত্রীদের মালামাল লুটপাট করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি পিকনিক যাত্রীদের। হামলাকালে প্রাণ বাঁচাতে শিতলক্ষা নদীতে ঝাপ দেয় রাজিব(৩১) নামে এক যুবক। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পিকনিক ট্রলারে হামলায় নেতৃত্ব দেয় কাঞ্চন পৌরসভার কাউন্সিলর পনির হোসেনের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন। এদিকে যুবক নিখোজ হবার পর আইনের আশ্রয় না নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ায় জন্য শালীসির মাধ্যমে ওই ঘটনার রফাদফা করেন কাউন্সিলর। গত রবিবার হামলার পর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শিতলক্ষা নদী থেকে নিখোজ রাজিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত, রাজিব গাজিপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার হরদি এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। পেশায় সে ইজিবাইক চালক ছিল।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে নৌ পুলিশের এসআই মোস্তফা জানান, রবিবার সকালে গাজীপুরের কালীগঞ্জে হরদি এলাকা থেকে নদীতে পিকনিক করার জন্য রাজিব সহ তার ৩০ জন বন্ধু ট্রলার যোগে ঘোড়াশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। রাত ১০ টার দিকে ফেরার পথে রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর কাঞ্চন পৌরসভার তারাইল এলাকায় পৌছুলে কাঞ্চন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পনির হোসেনের ছোট ভাই শহিদুল, রবিউল, রাশেদ, আরিফ, সিয়ামসহ ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দুইটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে হামলা চালায় পিকনিকের ট্রলারে। হামলাকারিরা বাদল, রাব্বি, রুবেলসহ কমপক্ষে ১০জনকে পিটিয়ে আহত করেন। লুটপাট করে যাত্রীদের মালামাল। এসময় বাচার জন্য ট্রলারে থাকা পিকনিকে লোকজন নদীতে লাফিয়ে পড়ে সাতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হয় ইজিবাইক চালক রাজিব। বহু খোজাখুজির পর না পেয়ে নিখোজের পরিবারের পক্ষ থেকে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে তারাইল এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ১ যুবকের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। নৌ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন।
এদিকে, রাজিব নিখোঁজ হবার পর গত সোমবার কাউন্সিলর পনির ওই ঘটনায় আইনের আশ্রয় না নিয়ে ঘটনাটি মিটিয়ে দেয়ার জন্য নিখোঁজের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগও উঠে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।