কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার মতো ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার মতো ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
কর্মকর্তাদের সৎ থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী, সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয়, সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা ও শাস্তির ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টটেন্স, প্রমোশন ট্রান্সফার এসব নিয়ে পূর্বে অনেক কথা ছিল। এখন এ প্রাকটিস বন্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে বিআরটিএ এবং সড়ক বিভাগে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কোনো রাজনৈতিক তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না। এক্ষেত্রে পূর্বে বিআরটিএতে প্রচুর লেনদেন হতো। টাকার বিনিময়ে কর্মকর্তাদের বদলির কাজ চলত। সেটি অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে। তবে মিরপুর, ইকুরিয়াসহ বেশকিছু জেলায় কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে অপকর্ম হয়ে থাকে। সর্ষের মধ্যে দালালদের মতো ভূত রয়েছে। জনস্বার্থে কোনো প্রকল্প দরকার সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই বিষয়টাকে সর্বপ্রথম বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, বিরোধীরা বলছে সরকার না কি মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করছে। বাস্তবে সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি নয়, মেগা সাশ্রয় করছে। তিনটি সেতু- মেঘনা, গোমতী ও কাচপুর সেতুতে ১১শ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আর পদ্মা সেতুতে সাশ্রয় হয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সম্পদের হিসাব দিতে পারে, এটা দেওয়া উচিত। এখানে আপত্তি কোথায়? আমি যদি সৎভাবে কাজ করি দিতে আপত্তি কী।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন স্কিম এবং শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই বিলিভ সো আই হোপ সো। শিক্ষকদের সঙ্গে বসে কথা বলতে পারছি না। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যে ইস্যুতে আন্দোলন করছে এটাতো সরকারের সিদ্ধান্ত না, আদালত রায় দিয়েছে। এটা আদালতের এখতিয়ার।