নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ( হাবিবুল্লাহ মীর)
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের রূপগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্টেরর নামে বিলাস বহুল ডু-প্লেক্স বাড়ি সিলগালা করে নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে দুূদক ও জেলা প্রশাসক।
শনিবার বিকাল ৪ টায় নারায়াণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও দুদকের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
জানা যায়, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে গত ৩১ মার্চ থেকে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সব প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগ গুলোর বিষয়ে দুদক আইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করে। এমনকি বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।
বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র ও পূর্বাচলে রয়েছে সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
আদালতের নির্দেশে বেনজীর ও তার পরিবারের নামে থাকা আড়াইশো একর জমি, ১২ টি ফ্ল্যাট, ৩৩ টি ব্যাংক হিসাবসহ তার নামে থাকা বিভিন্ন স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করে। এ তালিকায় আছে বেনজীর পরিবারের নামে থাকা ২৫ কোম্পানির শেয়ারও।
সর্বশেষ ২১ দিনের সময় দিয়ে এ পরিবারের কাছে সম্পদের হিসার চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুদক। পরপর দু’দফা নোটিশ তলব করলেও বেনজীর পরিবারের কেউ হাজির হয়নি দুদক কার্যালয়ে।
এর প্রেক্ষিতে আজ ৬ জুলাই শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে বেনজির আহমেদের ডুপ্লেক্স বাসায় অভিযান চালায় দুদকের উপ পরিচালক মাইনুল হাসানের নেতৃত্বে দুদকের ৩ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এডিসি রাজস্ব শফিকুল আলমের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আহসান মাহমুদ রাসেল, সহকারী কমিশনার ভূমি সিমন সরকার সহ উপজেলা ভুমি অফিস অংশ গ্রহন করেন।
প্রথমে তারা ভবনটি প্রবেশ গেইটে সম্পত্তি ক্রোকের একটি সাইবোর্ড টানিয়ে দেন। পরে পুরো ভবনটি পরিদর্শন করে ভবনটির দুইটি দরজায় সিলগালা করে দেন।