দুইদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুর সীমান্তের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট পানির নীচে পড়েছে। এতে করে এলাকার মানুষ স্বাভাবিকভাবে একস্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে পারছেন না। ডুবে যাওয়া রাস্তাগুলো হলো- উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি-কলাগাঁও চারাগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় রাস্তা, সোনাপুর-লামাকাটা রাস্তা।
কলাগাঁও চারাগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ডালিম বলেন, বিদ্যালয়ে আসার চলাচলের রাস্তা পানির নীচে, ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় কাপড় ভিজে যাচ্ছে।জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুদাচ্ছির আলম সুবল বলেন, সরকার আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল। পরে আবার শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি দেখিয়ে ২৬ জুন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যতীত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি একেবারেই কম। এমতাবস্থায় আমরা শিক্ষকগণ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে দিনভর বসে থাকতে হচ্ছে।
অপরদিকে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা ১০০ মিটার ডুবন্ত সড়ক ৩ ফুট পানির নীচে পড়েছে। রবিবার ভোর থেকেই তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এমতাবস্থায় এ রাস্তায় চলাচলকারীরা নৌকাযোগে এ রাস্তাটি পারাপার করছেন। তবে এ রাস্তায় চলাচলকারী হোসাইন আহমদ বলেন, তিনি একাকী একটি মোটরবাইক নিয়ে কোন রকমে সড়ক পাড়ি দিয়েছেন।তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার – রাশিদ কবির বলেন যে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি আরো জানান বন্যায় কবলিত মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য। পাহাড়ি ঢল কমে গেলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।