মাদারীপুরের কালকিনিতে ককটেল বানাতে গিয়ে নিজেদের তৈরি করা ককটেলের বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছে ৩জন।
মঙ্গলবার ১জুলাই মধ্য রাতে কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নে মৃধা কান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।সরজমিন ও স্থানীয় সূত্রে যানাযায়, শিকারমঙ্গল ও পূর্ব এনায়েত নগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কাজিকান্দি ও মৃধা কান্দি গ্রামের কাজি ও মৃধাদের মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
মৃধাকান্দি গ্রামের আদম ব্যবসায়ী মোঃ মিরাজ মৃধার হুকুমে তার পিতা হাচেন মৃধা ও সিরাজ মৃধা নেতৃত্বে ও প্রতিপক্ষ আপাং কাজির সাথে এই দ্বন্দ চলে আসছে। তারই জেরে গত কয়েক দিন ধরে উভয় পক্ষ কয়েক দফা সংঘাতে জড়িয়ে পরে। আর সংঘাতে ব্যপকভাবে ককটেল ব্যবহার করছে উভয় পক্ষ। কোরবানির ঈদের আগের দিন খুনেরচর গ্রামের পলিন সরদার, বাশগাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, কালাই সরদার চরের ইয়াহিয়া খা ও লিটন তালুকদারের নেতৃত্বে পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আপাং কাজির দলের ১০/১২ জনকে গুরুতর আহত করা হয়েছিল ঐ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ আসামী ধরছেনা বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নতুন সংঘাতের উদ্দেশ্যে গত রাতে কবির মৃধার বাড়িতে ককটেল তৈরি করার সময় বিস্ফোরণে শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ইচাগুরা গ্রাম থেকে ভাড়ায় ককটেল বানাতে আসে কাইউম মৃধা ও সোহেল মৃধা পিতা-নান্না মৃধা এবং সহিদ সরদার পিতা- কাদের সরদার নামে তিন যুবক গুরুত্বর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেফতার এড়াতে তারা গোপনে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া সবাই পলাতক থাকায় এবিষয়ে আহত বা দুপক্ষের কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।এবিষয়ে স্থানীয়রা তিনজন আহত হওয়ার কথা বললেও পুলিশ বলছে আহত একজন।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. আলাউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আরও জানান, আমরা ঘটনা শুনেছি তবে যে আহত হয়েছে সে কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছে এখনো জানা যায়নি। আমরা এখনো খোঁজ নিচ্ছি।