ভোলা জেলা প্রতিনিধি রিয়াজ ফরাজী:
ব্রিজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন তিন গ্রামের বাসিন্দাদের। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার পরিবার। বলছি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদীর বেড়ীবাঁধের দরুন খালের উপর নির্মিত আয়রন স্ট্রাকচার ব্রিজের কথা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাচড়া, গোবিন্দপুর ও দরুন গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন বলেন, গতকালকেও ব্রিজটি ভালো ছিল ঘুম থেকে উঠে দেখি ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজকর্মী মমিন জানান, ২০০৬ সালে এই ব্রিজটি নির্র্মাণ করা হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকার পর জোয়ারে শ্রোতে ও প্রবল বৃষ্টিতে ব্রিজটি সম্প‚র্ণ খালের পানিতে ভেঙ্গে পড়ে। এতে সাচড়া, গোবিন্দপুর ও দরুন এই তিনটি গ্রামের মানুষের চরম দ‚র্ভোগ দেখা দেয়। এবং স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছেন না। আগামীকাল ব্রিজের পাশের কেরামত শিউলীর ছেলে সিরাজ শিউলীর বাসায় বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে ইতিমধ্যে বিয়ের আয়োজনের সকল সরঞ্জাম চেয়ার টেবিল ও স্টেজ করা শেষ কিন্তু ভয়াল তেতুলিয়া নদীর গ্রাসে যাতায়াতের এক মাত্র ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বর যাত্রীর কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে।
কালু মাঝি বলেন, এই ব্রিজটি দিয়ে প্রায় ৮-১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এটি ভেঙ্গে যাওয়া চলাচলের কষ্ট হচ্ছে।
মহসিন বলেন, গোবিন্দপুরের এই ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এই গ্রামের ছোট ছোট স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দ‚র্ভোগ দেখা দিয়েছে।
বৃদ্ধ জলেখা বিবি বলেন, আমাদের চলাচলের জন্য ব্রিজটি জরুরী প্রয়োজন। ব্রিজটি দ্রæত করার অনুরোধ করছি।
সাচড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: মহিবুল্লাহ মৃধা জানান, আমি ইতিমধ্যে ব্রিজটি পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ করার অনুরোধ করেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাইদুল ইসলাম খান জানান, এই আয়রন ব্রিজ গুলো প্রায় ২০ বছর প‚র্বে মানুষ ও রিক্স্রা, মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য কম বাজেটে করা হয়। এই ব্রিজ গুলো মেরামত ও নতুন করে করা হয়না। তবে নতুন করে বেশি বাজেটে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এই ব্রিজটি বিষয়ে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।