ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে নিহতের মা মেরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহতের চাচি শাহানা বেগম জানান, এই পরিবারটিতে সবাই প্রতিবন্ধী। বিচার পেতে সংশয় হচ্ছে। মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করে আমরা এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের জন্য ফাঁসির দাবি জানাই।
এদিকে ধর্ষিত ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিদর্শনকালে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদ আলম জানান, কিশোরীর সুরতহালে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। অপরাধী যেই হোক দ্রুত আসামিকে আটক করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি। এ বিষয়টির জন্য আমরা বিশেষ আরও একটি তদন্ত টিম গঠন করেছি, যার নেতৃত্বে থাকবে ভাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত আবুল খায়ের। তিনি সাব ইন্সপেক্টরদের নিয়ে মামলার মোটিভ না বের হওয়া পর্যন্ত তদন্তের দায়িত্বে থাকবে।
তবে এলাকাবাসীরা বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, নিহত মেয়েটি ছিল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং তার পুরো পরিবারটিও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। যার জন্য অপরাধীদের চাপে বিচার না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিষয়টি ধামাচাপায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যে যাবার সে চলেই গেল। এমন মন্তব্য অনেকেরই। কারণ, এর আগে মেয়েটি আরও একবার ধর্ষিত হয়েছে। তার বিচার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেল না পরিবারটি। যদি বিচার কঠিন হতো তাহলে এইবার তার জীবন দিতে হতো না।
এ বিষয়ে খুন হওয়া মেয়েটির বাবা প্রতিবন্ধী আব্দুল হাই বলেন, পূর্বে আরও একবার আমার মেয়ে ধর্ষিত হওয়ার বিষয়ে আমি মুখ খুলতে গেলে আমাকে বাড়িতে থাকতে দিবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়। আমি জরিমানা নেইনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে প্রতিবন্ধী রেখা আক্তার নামের এক কিশোরী বাড়ির পেছনে ডোবায় গোসল করতে গেলে দুষ্কৃতকারীরা ৫০ ফুট পাশে পাট খেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, পরে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।