ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সেনাদের একটি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। শুক্রবার (২৮ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন রকেট হামলা চালিয়েছে। নাবাতিয়েহ ও শোহমরে হামলার জবাবে তারা এ হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধান বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে চালানো এ হামলায় কাতিউশা রকেট ব্যবহার করা হয়েছে।
অপর এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলের চালানো হামলায় তাদের চার যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শোহমরে চালানো হামলায় এক যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি সেনা এবং তাদের অবস্থানকে নিশানা করে একটি ড্রোনসহ আরও দুটি হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে তাদের ছোড়া এসব রকেটের বেশিরভাগ সফলভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছে তারা। এছাড়া এ হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে ডয়েচে ভেলে জানায়, লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের দফায় দফায় হামলা-পাল্টাহামলার ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও তুরস্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বার্লিন ও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, যুদ্ধ আরও প্রসারিত হলে ফল কী হবে তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, যুদ্ধের পরিধি ও তীব্রতা বাড়লে তার ফল মারাত্মক হবে। আমি এটিকে ফ্লাশ পয়েন্ট হিসেবে দেখছি।
গত সাত অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলার পর থেকে সংঘাতে জড়িয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহও। অন্যদিকে এ হামলায় ইসরায়েলকে সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেন, আরেকটি যুদ্ধ মানে আঞ্চলিক সংঘাতের সম্ভাবনা অভাবনীয় আকারে বেড়ে যাওয়া। ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে যুদ্ধ হলে বিপদ বাড়বে বলেও জানান তিনি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধ হলে তা আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেবে। কূটনৈতিক পথে এ উত্তেজনা কমাতে হবে বলেও জানান তিনি।