যশোরে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, তার ওপর যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দিন-রাতে সমানতালে হচ্ছে লোডশেডিং।
গত কয়েকদিন ধরে ২৪ ঘণ্টা-ই বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় বিপর্যস্ত জনজীবন।
লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানার উৎপাদনও। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এ অবস্থা।
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে দিনের অধিকাংশ সময়। গড়ে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা, কোথাও আবার এরচেয়েও বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকছে না।
লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন কলকারখানার উৎপাদন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের তীব্র লোডশেডিংয়ে ক্ষতি হয়েছে অন্তত এক কোটি টাকা। সব খাত মিলিয়ে বিশ্লেষণ করলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় কয়েক গুণে। তাই জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের দাবি সবার। গত কাল বিকেলে রিকশা চালক ফিরোজের সাথে কথা হলে তিনি জানান
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। রাতে অনেক কষ্ট হয়। এমনিতেই আমাদের এখানে তীব্র গরম চলছে, তার ওপর আবার বিদ্যুৎ থাকে না। খুব কষ্টে আছি। সবজি ব্যবসায়ী সদর উপজেলার ভায়না গ্রামের আব্দুর রশিদ জানান ২৪ ঘন্টায় ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লুকোচুরি খেলা জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে বাঘারপাড়া উপজেলার বলরামপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম বলেন, দিন-রাত মিলিয়ে ৮/১০ বার লোডশেডিং হয়। তীব্র লোডশেডিংয়ে রাতে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। এ ছাড়া রাতে ভোল্টেজ কম, ফ্যান ঘুরতে চায় না। একে তো গরম, তার ওপর লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা পড়েছেন মহা বিপদে ।
এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রয়েছেন নিরব। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত বিদ্যুতের লুকোচুরি বন্দে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ।