1. dailysonbad@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. newsroom@dailysongbad71.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা | দৈনিক সংবাদ ৭১
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলা চালানো হবে: হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর ইরানে ইসরায়েলি হামলার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ গাজার ত্রাণ সহায়তা সোনার দাম আরেক দফা বাড়লো রাজশাহীর বাগমারায় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে খেলাফত যুব মজলিসের ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোদায় নাইট ফুটসাল ব্যাচ ভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টের জমকালো উদ্বোধন জগন্নাথপুরে সাংবাদিক ও সংগঠক আহমেদ হোসাইন ছানুকে সংবর্ধনা যশোরে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার: আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড? জাতিসংঘে ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সম্মেলন স্থগিত, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্তে অটল ফ্রান্স

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা

সংবাদ ৭১ ডেক্স
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪
  • ২০৫ বার দেখা হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা লাভ করেছি স্বাধীন দেশ, নিজস্ব পতাকা। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বাংলার ছাত্র-যুবক, কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণ বর্বর হানাদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। তারই পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে খোদিত হয় একটা নাম- ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ’।

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে যাঁরা অস্ত্র হাতে সরাসরি পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন কেবল তাঁদেরই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হয় তা নয়। সেই সঙ্গে অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রী, সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলোতে ত্রাণ বিতরণসহ যাঁরা বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন তারা, কোলকাতায় স্থাপিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পরিচালকমণ্ডলী, সাংবাদিক, ভাষ্যকার ও শিল্পী, প্রমুখকেও মুক্তিযোদ্ধা হিসাব তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে যারা অস্ত্র হাতে মাঠ পর্যায়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা:
(ক) তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর নিয়মিত সদস্যবৃন্দ। এরা আগে থেকেই অস্ত্র ব্যবহারে এনমকী সম্মুখ সমরাভিযানে প্রশিক্ষিত ছিলেন। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এরা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। এদের অধিকাংশই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ‘নিয়মিত বাহিনী’র সদস্য ছিলেন।
(খ) দ্বিতীয়ত: সাধারণ মানুষ যাঁরা বাংলাদশে ত্যাগ করে ভারতে গিয়েছিলেন এবং ভারতের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অস্ত্রচালনা, বিস্ফোরকদ্রব্যের ব্যবহার ও গেরিলাযুদ্ধের কলাকৌশলে প্রশিক্ষণ লাভের পর দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সেগুলো ব্যবহার করেছিলেন। সংখ্যাই এরাই সর্বার্ধিক। এদের বলা হতো ‘গণবাহিনী’। সামরিক প্রশিক্ষণের পরই এদের হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ছিলেন কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র সহ সমাজের নানা স্তরের মানুষ।
(গ) টাঙ্গাইলের বঙ্গবীর আব্দুল কাদেরর সিদ্দীকীর (বীর উত্তম) নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত কাদেরিয়া বাহিনীর লোকজন। এদের অধিকাংশই প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যাননি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ল্যান্স নায়েক কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দেশের ভেতরই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন; এবং
(ঘ) কেবল ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে নতুনভাবে ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, কিন্তু দেশাভ্যন্তরে না-ফিরে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধ করেছেন। এদের পৃথকভাবে নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মুজিব বাহিনী’।

১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা প্রাপ্তি বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ যুদ্ধে খুলনা বিভাগের মানুষের অবদানও কম ছিল না। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে স্বাধীনতার রক্তসূর্য ছিনিয়ে আনার সংকল্প নিয়ে এখানকার হাজার হাজার মানুষ তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছে। তাঁরা তাঁদের জীবনের বিনিময়ে পরম প্রার্থিত প্রাণপ্রিয় স্বাধীনতা উপহার দিয়ে যান।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে খুলনা বিভাগের অবদান কম নয়। খুলনা বিভাগের মুক্তিযুদ্ধ সার্বিক মুক্তিযুদ্ধের সাথে বিচ্ছিন্ন কোন ব্যাপারও নয়। তবু সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গ্রথিত হলেও এ এলাকার লড়াইয়ের নিজস্ব একটা স্বকীয়তা রয়েছে। ভৌগলিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে শত্রুপক্ষের হামলা ও তার প্রতিরোধ প্রচেষ্টার মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে স্বাতন্ত্র্য থাকাই স্বাভাবিক। খুলনা জেলার বড় অংশ ছিল নবম সেক্টরভুক্ত। খুলনায় মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস অনবরত যুদ্ধ চলে। এখানে যেমন গেরিলা যুদ্ধ তেমনি হয় সম্মুখ সমর। প্রলয়ংকরী ট্যাংক যুদ্ধও হয় এখানে। এ যুদ্ধে এখানে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যা সহজেই চোখে পড়ার মতো।  প্রথমতঃ খুলনার সাতক্ষীরা থেকে ব্যাংক অপারেশনের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত এক কোটি পচাত্তর লক্ষ টকা নিয়েই নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের যাত্রা শুরু হয়। দ্বিতীয়তঃ ১৬ই ডিসেম্বর পাক বাহিনী ঢাকায় আত্মসমর্পণ করলেও খুলনায় তা ঘটে একদিন পর, ১৭ই ডিসেম্বর। তৃতীয়তঃ এখানে শিরোমনি নামক স্থানে সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক ট্যাংক যুদ্ধ যা ছিল একটা অনন্যসাধারণ ঘটনা। এমন ট্যাংক যুদ্ধ দেশের অন্যত্র খুব কমই ঘটেছে। চতুর্থতঃ খুলনা দেশের এমন একটা এলাকা যেখানে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় ভুল বোঝা-বুঝির কারণে ভারতীয় বিমানের আঘাতে ধ্বংস হয়  স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধ জাহাজ পদ্মা ও পলাশ।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2024, All rights reserved. এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট