যশোরের চৌগাছায় ছেলের আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছেন বৃদ্ধ পিতা সৈয়দ আলী (৮০)। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আল আমিন (২০) নামের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মাধবপুর গ্রামে।
এলাকাবাসি জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করে বৃদ্ধ সৈয়দ আলী নিজ বাড়িতে যান। এ সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার ছেলে বিল্লাল হোসেনের (৩৫) সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলে বিল্লাল হোসেন তার বাবাকে চড় থাপ্পড় মারার পাশপাপাশি আঘাত করেমাটিতে ফেলে দেয়। এতে বৃদ্ধ পিতা মাটিতে পড়ে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতহালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। বর্তমানে ওই বৃদ্ধ বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহত যুবক আল আমিন বলেন, বৃদ্ধ সৈয়দ আলী তার দাদা এবং বিল্লাল হোসেন চাচা। আল আমিনের বয়স যখন দেড় বছর তখন তার পিতা দেলোয়ার হোসেন মারা যান। এরপর মা অন্যত্র বিয়ে করেন আর আল আমিন নানা বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন। গত ঈদুল আযহার আগে সে নিজ পিতৃলয়ে এসেছেন এবং ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে কাজ করে যা রোজগার হয় তা দিয়ে দাদা দাদি ও নিজে খেয়ে পরে বেঁচে আছেন। তার বাড়িতে আসা চাচা বিল্লাল হোসেন কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এ নিয়ে চাচার সাথে তার নিজের এমনকি দাদা দাদির প্রায় তর্ক কথাকাটাকাটি হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার চাচা আমাকে ও দাদাকে মেরে আহত করেছে। এ বিষয়ে বিল্লাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজিব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলেটি চরম খারাপ একটি কাজ করেছে, সকলেই ধিক্কার দিচ্ছে। আমি খবর পাওয়া মাত্রই ওই বাড়িতে যাই এবং সৈয়দ আলীকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করি। বর্তমানে বিল্লাল বাড়ি ছাড়া সে বাড়িতে এলে ঘটনার একটি সুষ্ঠু বিচার করা হবে।