1. dailysonbad@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. newsroom@dailysongbad71.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বনানী থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিব উল্লাহ হবি  পিলখানা হত্যাকাণ্ড: কাশিমপুর থেকে মুক্ত ১২৬ বিডিআর জওয়ান দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ালো নীলফামারীতে বৃষ্টির মত ঝরছে শিশির রূপগঞ্জে শুভ ফুড নামের অবৈধ শিশুখাদ্য ও ফুলকলি সুইট এন্ড বেকারী কারখানায় প্রশাসনের অভিযান; অবৈধ পন্য ধ্বংস ও আর্থিক জরিমানা পরীক্ষা না দিয়েও ছাত্রলীগ নেত্রী পাস : তদন্ত কমিটি গঠন চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলামকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল কালীগঞ্জে হিরো উমেন স্কলারশীপ প্রদান আত্মগোপনে থাকা মানিকগঞ্জের যুবলীগ নেতা ঢাকায় গ্রেফতার পিলখানা ট্রাজেডির ঘটনায় বিষ্ফোরক আইনে করা মামলায় জামিন ১৭৮ জন

শুল্ক ছাড়াই গাড়ি আনতে পারবেন এমপিরা

বিশেষ সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪
  • ৯৭ বার দেখা হয়েছে

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা কাটছাঁট করে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব ছিল। তাদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি বাতিল করতে হলে ১৯৭৩ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার সংশোধন করতে হবে। এর পরই এ ধরনের গাড়ি আমদানিতে কর আরোপ করা যাবে। সংসদের চলতি অধিবেশনে এ ধরনের কোনো বিল উত্থাপন হয়নি। যার কারণে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা বহালই থাকছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের কর অবকাশ সুবিধা বাতিল করে করারোপ করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এই প্রস্তাবও বাতিল হচ্ছে। আর কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করতে রিটার্ন জমার স্লিপ বাধ্যতামূলক করার বিধান শুধু সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। যারা সিটি করপোরেশনের বাইরে কমিউনিটি সেন্টার বা হল ভাড়া করবেন, তাদের রিটার্ন জমার স্লিপ দিতে হবে না। তবে বিতর্কিত ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে এ বাজেটে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা কাটছাঁট করে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট বক্তৃতায় এই আইন পরিবর্তন করে শুল্কমুক্ত সুবিধা কমানোর বিষয়েও প্রস্তাব দেন। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে এ আইন পরিবর্তন হচ্ছে না। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শুল্ক সুবিধা প্রত্যাহার করে ১ শতাংশ শুল্কারোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থাপনার যন্ত্রপাতি আমদানিতেও শুল্কারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবে সংশোধন আনা হচ্ছে। বিনিয়োগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ প্রস্তাব বাতিল করা হচ্ছে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আগের দেওয়া কর সুবিধা অব্যাহত থাকছে। নতুন করে অর্থনৈতিক অঞ্চলে করারোপ করা হবে না। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ কর দিয়ে ব্যক্তি ও কোম্পানির কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ ও সমালোচনা থাকলেও তা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অনেকেই ব্যক্তি খাতে এ সুবিধার বিপক্ষে ছিলেন। সংসদে এ আইন অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে এনবিআর সূত্র।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর কালবেলাকে বলেন, বাজেটে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে শুল্কারোপ করতে না পারা খুবই দুঃখজনক। একটা সিম্বলিক উদ্যোগ ছিল, সেটাও বাজেটে রাখতে পারল না। এখানে টাকার পরিমাণও বেশি ছিল না, যা এমপিদের জন্যও লজ্জাজনক।

সূত্র আরও জানায়, প্রস্তাবিত বাজেটের পরিবর্তন বিষয়ে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী এসব পরিবর্তনের ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছেন। সংশোধনীসহ অর্থবিল আজ বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থ আইন হিসেবে পাস হওয়ার কথা রয়েছে। গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের সময় ধীরে ধীরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে যেতে আইন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। মূলত এমপিদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয় প্রত্যাখ্যান করার পর তিনি এ কথা বলেছিলেন। বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী এমপিদের গাড়ি আমদানি প্রসঙ্গে বলেন, সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে সব ধরনের শুল্ককর অব্যাহতি আছে। সব স্তরে অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য সবাইকে রাজস্ব দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য শুল্ককর ছাড়া গাড়ি আমদানির নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন একটি মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এ উদ্দেশ্যে সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে অব্যাহতির সুবিধা পরিবর্তন করা যেতে পারে। এ লক্ষ্যে সংসদ সদস্যদের (পারিশ্রমিক ও ভাতা) আদেশ ১৯৭৩-এ সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করছি।

বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী শুধু বেসরকারি ইজেড (ইকোনমিক জোন) এবং হাইটেক পার্কগুলোর জন্য কর বসানোর প্রস্তাব করেছিলেন। সরকারি হাইটেক পার্ক এবং ইজেডগুলোকে কর অবকাশের আওতায় রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে ১০ বছরের ট্যাক্স-হলিডে সুবিধা বাতিলের প্রস্তাব করেছিলেন। আর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ওপর ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বসানোর প্রস্তাবও করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এতে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আপত্তি থাকলেও তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না। সংশোধনী বাজেটে আগের মতোই ৫০ লাখ টাকা লাভের ওপর কর আরোপের সিদ্ধান্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে এনবিআর সূত্র।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© 2024, All rights reserved. এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট
error: এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।