যশোর শহরতলীর চাঁচড়া পূর্বপাড়ার যুবক সাকিবকে হত্যার অভিযোগে নয়জনকে আসামি করে এবার আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার নিহত সাকিবের বাবা মজনু হক বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা তার সত্যতা যাচাইপূর্বক সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসিকে। এর আগে মজনু হক কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছিলেন। কিন্তু সেখানে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছিলো।
আদালতে দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন, যশোর সদরের নারানপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মুহুরী ও তার ছেলে ইসরাজুল, একই গ্রামের মিরাজ, ভাতুড়িয়া গাজীপাড়ার শফিয়ার মেম্বর, আল আমিন, ভাতুড়িয়া গ্রামের রফিকুল, বেড়বাড়ি গ্রামের মিন্টু, জনি ও দাড়ীপাড়া গ্রামের আমির হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামিদের সাথে সাকিবের পূর্ব শত্রুতা চলছিল। গত ৫ জুন সন্ধ্যায় সাকিব কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে যশোর-বেনাপোল সড়কের মা আয়রণ সেন্টারের সামনে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা তার গতিরোধ করে বেদম মারপিট করে। গুরুতর আহত সাকিসের চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত সাকিবের পরিবার থেকে আসামিদের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিলে কতৃপক্ষ আসামিদের নাম বাদ দিয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা গ্রহণ করেন। তিনি এ অভিযোগে করা আসামিদের নাম থানায় রুজু হওয়া মামলায় নথিভুক্ত করার জন্য এ মামলা করেছেন।