যশোরে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন যশোর শহরের ঘোপ জেল রোডের বাসিন্দা এনায়েত আলীর ছেলে শাহিনুর রহমান শাহিন।
আসামিরা হলেন, যশোরে নারী ও শিশু নির্যাতন ও মানবপাচার দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর ( পিপি) অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল ও অ্যাডভোট. সৈয়দ কবীর হোসেন জনি।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কবির অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসককে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শাহজাহান কবীর খান বিপ্লব। তবে, এ মামলা ষড়যন্ত্রমুলক দাবি করেছেন ওই দুই আইনজীবী।
বাদির অভিযোগ, আইনজীবী সমিতির ২ নম্বর ভবনের সামনে ফুটপাতে টেবিল রেখে কাপড়ের ব্যবসা করেন। গত ১০ জুন মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল ও সৈয়দ কবীর হোসেন জনি তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এছাড়া ২ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে মাসোহারা দিতে হবে বলে জানায়। কিন্তু শাহিন এতে রাজী না হলে সৈয়দ কবীর হোসেন জনি পিস্তল বের করে শাহিনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনার পর একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহিন পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গেলে উল্লিখিত আসামিরাসহ আরও কয়েকজন তার ওপর চড়াও হন। তারা এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এরই মধ্যে সেখান হাজির হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা চালালে আসামিরা শাহিনকে হুমকি দিয়ে চলে যান।
মামলার বিষয়ে পিপি অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল ও অ্যাড. সৈয়দ কবীর হোসেন জনি দাবি করেছেন, সম্প্রতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে লাঞ্ছিত ও মারপিট করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। এ ঘটনায় আইনজীবীরা একট্টা হয়ে মানববন্ধন করেন। এ ঘটনার পর শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। এজন্য দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়েছেন শহিদুল ইসলাম মিলন।