বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে উদ্ধারকৃত রাফি ও রাফাতকে তাদের প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে, বুধবার (১৯ জুন) রাতে চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানার পাহাড়ি এলাকার বুহাপুর গ্রাম থেকে দুই ভাই রাফি ও রাফাতকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, ফেনী সদর থানার তুলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ইউসুফ মিয়া চাকরির সুবাদে সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা শিল্পনগরী এলাকায় একটি বাড়িতে পরিবার-পরিজন ও দুই ছেলে নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। মো. ইউসুফ মিয়া একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ৫ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাফি ও রাফাত স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। স্কুল সাড়ে ৪টার দিকে ছুটি হলেও তারা সন্ধ্যা ৭টার দিকেও বাড়ি ফেরেনি। পরে তাদের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পরদিন সোমবার সকালে নিখোঁজ ছাত্রদের বাবা মো. ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিখোঁজ রাফি ও রাফাতের ছবি পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন থানায়।
এদিকে সোনারগাঁ থানা পুলিশ এ ব্যাপারে ব্যাপক তদন্তে মাঠে নামার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে নিখোঁজ দুই সহোদর তাদের প্রকৃত বাবা আব্দুস সালামের বাড়িতে অবস্থান করছে। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশের এসআই মো. ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে বুধবার রাতে চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানার পাহাড়ি এলাকা বুহাপুর গ্রাম থেকে দুই ভাই রাফি ও রাফাতকে উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের (খ-সার্কেলের) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, রাফি তিন বছর ও তার ভাই রাফাতের এক বছর বয়সের সময় তাদের মা আঁখি আক্তারের সঙ্গে তাদের প্রকৃত বাবা আব্দুস সালামের ডিভোর্স হয়ে যায়। পরে তাদের মা আঁখি আক্তারের সঙ্গে মো. ইউসুফ মিয়ার বিয়ে হয়। তবে তদন্ত চলাকালে এ বিষয়ে পুলিশকে কোনো তথ্য দেয়নি রাফি ও রাফাতের প্রকৃত মা আঁখি আক্তার ও কথিত বাবা মো. ইউসুফ মিয়া।