জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এমন তথ্যই জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে ‘স্থায়ী পেসমেকার’ স্থাপনের পর ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয় সিসিইউতে। বর্তমানে খালেদা জিয়া আছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিনে।
শুক্রবার মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে পরিবারের সিদ্ধান্তেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ২টার পর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে অ্যাম্বুলেন্স ও ইনজেকশন চেয়ে ফোন করে, সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন।
রোববার এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
শুধু অ্যাম্বুলেন্সই নয়, খালেদা জিয়ার জন্য দুটি ইনজেকশন চেয়ে না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক।
কেন ইনজেকশন ও অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়নি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, তাদের কাছে সেবা চেয়ে ফোন করা হলেও তারা জানতেন না কার জন্য এই সেবা।
প্রশ্ন হলো- তবে কি বিপদের সময় রোগীর পরিচয় দিতে হবে? জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে একটি ফোন এসেছিল। ঠিকানা বলেছে কিন্তু রোগীর পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে আমরা আমাদের অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করার পর তারা আর নেয়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক থাকায় ‘স্থায়ী পেসমেকার’ স্থাপন করা হয়েছে। করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির পর দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে সম্পন্ন হয় অস্ত্রোপচার। হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল তার। এর আগেও রিং পরানো হয়েছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেস মেকার বসানো হয়েছে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।